যতই স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার কথা বলা হোক না কেন শেষপর্যন্ত অধিকাংশ মানুষই এই নিয়ম মানতে পারেন না। ডিনারেও জমিয়ে মাছ-মাংস খান। এছাড়াও ডিনারের সময়ও ঠিক করে মেনে চলা হয় না
রাত ৮ টার মধ্যেই খাওয়া-দাওয়ার পাট চুকিয়ে ফেলতে পারলে সবচাইতে ভাল। অনেক বাড়িতেই সেই সময় গড়িয়ে যায় রাত ১২-টায়। এত রাতে খেলে মোটেই কোনও কিছু হজম হয় না
আর বেশি রাতে মাছ-মাংস খেলে হজমজনিত অনেক সমস্যা হয়। গ্যাস, অম্বল পেট ফাঁপা। আর তাই রাতের খাবার হালকা রাখতে বলা হয়। সবজি সেদ্ধ, একবাটি স্যুপ এরকমই খান
মাছ ও মাংসতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। তাই নিয়মিত এইসব আমিষ খাবার খেলে যে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মিটে যাবে,শুধু তাই নয়, এইসব আমিষ খাবার হল জিঙ্ক, আয়রন, সেলেনিয়াম, বি ভিটামিন সহ একাধিক উপকারী খনিজ ও ভিটামিনের ভাণ্ডার
মাছ, মাংস রাতে খেলে তার যে পুষ্টিগুণ থাকে তা কোনও রকম কাজে লাগে না। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এর ফলে অন্ত্রের উপর চাপ বাড়ে, ঘুমও ঠিকমত হয় না
সুস্থ থাকতে চাইলে সন্ধে সন্ধে ডিনার সেরে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এই কাজটা করতে পারলেই কিন্তু খাবারের সমস্ত পুষ্টিগুণ মিলবে। এমনকী এড়িয়ে চলা যাবে পেটের অসুখ
এমনকী রাত জেগে ঠাকুর দেখে বিরিয়ানি, চিলি চিকেন, মশলা দেওয়া মাছ-মাংস খাবেন না। এতে হজমের সমস্যা হয় , গ্যাস-অম্বল হয়। রাতের বেলা গ্যাস হলে সেখান থেকে হৃদরোগের আশঙ্কাও থাকে
মাছ-মাংস খেলে দুপুরে খান। দুপুর ২.৩০ এর মধ্যে খাবার খেয়ে নিন। এতে হজমের যেমন সমস্যা হয় না তেমনই শরীরও থাকে সুস্থ। আর মাছ, মাংসের মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান থাকে তাও কাজে লাগে