ডায়াবেটিসের রোগীদের খাবার-দাবার নিয়ে সচেতন থাকতেই হবে। কোন খাবারের মধ্যে কতটা পরিমাণ শর্করা থাকে তা দেখে নিয়ে খাবার খেতে হবে। কলা, খেজির এসব ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য একেবারেই ভাল নয়
তেমনই আলু, বিট এসবও ডায়াবেটিসের রোগীদের বেশি খাওয়া ঠিক নয়। পরিবর্তে কুমড়ো, গাজর, লাউ, শসা, পটল, করলা এসব বেশি করে খেতে হবে। গ্রামের একটি সবজিও অবস্য রয়েছে এই তালিকাতে
তা হল কুঁদরি। শরীরের জন্য খুবই উপকারী এই সবজি। বিশেষত যাঁদের প্রেসার রয়েছে তাঁরা যদি রোজ নিয়ম করে খান তাহলে অনেক উপকার পাবেন। এর মধ্যে ক্যালোরি একেবারেই থাকে না। তবে ভিটামিন, খনিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে
এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতে তা সাহায্য করে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একেবারেই কম, ফলে তা সুগার রোগীদের জন্যেও দারুণ উপকারী
জটিল রোগ থেকে উপশম পেতে কুদরির জুড়ি মেলা ভার। যদিও অনেকে কুদরিকে পটল ভেবে ভুল করেন। তবে কুদরিকে পটল ভেবে ভুল করবে না৷ পটলের মতো দেখতে হলেও সবজিটি পটলের চেয়ে সাইজে অনেক ছোট
কুঁদরি হাড়ের জন্য খুবই উপকারী। এই সবজিতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সহ অনেক ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এটি খেলে হাড় মজবুত হয় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এড়ানোও সহজ
কেউ খান কুঁদরির ভাজা কেউ পোস্ত। এবার কুঁদরি গোল গোল করে কেটে নিন। কড়াইতে সরষের তেল গরম করে ওর মধ্যে কুঁদরি দিয়ে ভেজে নিতে হবে। অল্প হলুদ-নুন মিশিয়ে নিতে হবে
এবার কুঁদরি তুলে কড়াইতে বাকি তেলে কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা, ঝিরি ঝিরি করে কাটা আলু আর সামান্য নুন দিয়ে ভাজুন। বিনস, ঢ্যাঁড়শ মিশিয়ে ভাজতে থাকুন, পরিমাণ মত নুন, পেঁয়াজ দিয়ে কুঁদরি মেশান। সব মিলিয়ে ভাল ভাজা হবে এবার তা রুটির সঙ্গে খান