বাঙালি মানেই মিষ্টি প্রেমী। চিরকালই রসে-বশে থাকতে অভ্যস্ত। আর এই ঐতিহ্য চলে আসছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। যতই ডায়াবিটিসের ভয় থাকুক না কেন,মিষ্টি খাওয়া কমাতে পারেনি বাঙালি
শোনা যায়, বাঙালি ছানা তৈরি করতে শেখে পর্তুগিজদের হাত ধরে। তার আগে মিষ্টি বলতে বোঝানো হত চিনির সন্দেশ। এরপর চলে বিস্তর পরীক্ষা-নিরিক্ষা
তবে বোঁদে বাঙালির নিজস্ব মিষ্টি।
ইতিহাস বলছে, বোঁদের বয়স অন্তত ২০০ বছর। আর সেই বোঁদে ছিল সাদা রঙের। আর এই রঙের জন্যই বিশেষ খ্যাতি। বাংলার এই মিষ্টির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লোকসংস্কৃতিও
শোনা যায় ১৭৯৩-৯৪ সালে সাদা বোঁদে তৈরি হয় কামারপুকুরে। আর এই মিষ্টি তৈরি করেছিলেন মধুসূদন মোদক
মোদকদের হাতে গড়া সাদা বোঁদের প্রতি আলাদা আকর্ষণ ছিল শ্রীরামকষ্ণ দেবেরও। সাদা বোঁদের উল্লেখ রয়েছে রামকৃষ্ণ কথামৃতেও
১৯৪৭ সালে সাদা বোঁদের খ্যাতি ঠাকুরের ভক্তদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দেশ-বিদেশে। বোঁদে অনেক রকমেই হয় তবে হালকা মিষ্টির শুকনো বোঁদে একমাত্র এখানেই পাওয়া যায়
জানা যায়, একাদশী পালনের সময় বিধবারা ময়দা খেতেন না। তাই তাঁদের জন্য প্রথমে পানিফল ও পরে বরবটির বেসন দিয়ে বোঁদে তৈরি হত। তাই এর রং ধবধবে সাদা
আতপ চালের গুঁড়ি ও রমার বেসন মিশিয়ে বানানো হয় বোঁদের ছোট ছোট দানা। পরে ভাজা হয় ঘি দিয়ে। এর পর চিনির রসে ডুবিয়ে রাখা হয়। কামারপুকুর ছাড়া আর কোথাও তা পাওয়া যায় না