ডিম্ভাত নিয়ে যতই খোরাক চালু থাক না কেন এই ডিমের ঝোল আর ভাতও একটা সময় ছিল বিলাসিতা। শীতের দুপুরে পাড়াতে পাড়াতে পিকনিক হত আর সেখানে মেনুতে হত ডিমের ঝোল ভাত
অনেকেই মাছ-মাংস খান না তবে ডিমে কিন্তু না নেই। বাড়িতে আলু, ডিম থাকলেই আর কোনও চিন্তা থাকে না। সাধারণ আলুসেদ্ধ, ডিমসেদ্ধ ভাত খেতেও দারুণ লাগে। ডিমের ঝোলের সঙ্গে ভাত মেখে খাওয়ার কোনও তুলনা নেই
ডিমের ঝোল নানা ভাবে বানানো যায়। পোস্ত দিয়ে, দই দিয়ে, সরষে দিয়ে ডিমের ভাপা, টমেটো দিয়ে ডিমের কারি সব কিছুই খেতে লাগে দারুণ। হোটেলের স্টাইলে ডিম কষা একরকম খেতে লাগে আবার বাড়িতে বানালে একরকম খেতে হয়
আর তাই আজ রইল ডিম কষার দারুণ একটি রেসিপি। এভাবে বানিয়ে নিলে মশলা বাটাবাটির কোনও ঝামেলা নেই। ডিম সেদ্ধ করে কাট লাগিয়ে নিতে হবে , আলু কেটে রাখুন। তবে আলু আগের থেকে সেদ্ধ করে রাখবেন
আদা, রসুন, কাঁচালঙ্কা হামানদিস্তায় থেঁতো করে রাখুন। খুব মিহি করে থেঁতো করবেন না। কড়াইতে রষের তেল গরম করে একটু হলুদ আর নুন দিয়ে নাড়িয়ে সেদ্ধ করে রাখা ডিম দিয়ে ভেজে নিন
বেশ লাল করে ডিম ভেজে তুলে রাখুন। ভাজা ডিম কড়াই থেকে তুলে রাখুন। এবার ওতে আলু দিয়ে ভেজে নিতে হবে, আলু সোনালী করে ভেজে তুলে রাখুন, এবার গোটা গরম মশলা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিন
পেঁয়াজ ভেজে নিয়ে ওতে বাদামী রং ধরলে আদা গ্রেট করে মিশিয়ে দিতে হবে। রসুন-লঙ্কা থেঁতো করে নিয়ে মিশিয়ে নিন পেঁয়াজের মধ্যে। চমেটো টুকরো, নুন দিয়ে কষতে থাকুন। সামান্য একটু জল দিয়ে দিন এর মধ্যে
ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। টমেটো নরম হলে টমেটো স্ম্যাশ করে হলুদ, কাশ্মীরী লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, জল দিয়ে মশলা মিশিয়ে নিন। মশলা ভাল করে কষে এলে আর সুন্দর রং ধরলে আলু, ডিম কষিয়ে নিন। এক কাপ জল দিয়ে গরম মশলা গুঁড়ো মিশিয়ে দিলেই তৈরি ডিমের ঝোল