শরীরের জন্য তেল মোটেই ভাল নয়। আর তেল দেওয়া আরও খারাপ অভ্যাস। বেশি তেলে একাধিক সমস্যা হয়। ক্ষণিকের জন্য ভাল লাগে ঠিকই কিন্তু পরবর্তীতে শরীরে জাঁকিয়ে বসে একাধিক সমস্যা
তেল বেশি খেলে সেখান থেকে ওজন বাড়ে, হজমের সমস্যা হয় এছাড়াও ওজন বেড়ে যেতে পারে। আজকাল কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের সমস্যা বাড়িতে বাড়িতে। অতিরিক্ত তেল খাওয়া যে এর প্রধান কারণ তা নিয়ে সন্দেহ নেই
বাইরে বেরোলে রকমারি খাবারের হাতছানি। বাইরের সব খাবারের মধ্যে তেল থাকেই। চপ, ফিশপ্রাই, চাউমিন, পাস্তা, পিৎজা, বার্গার থেকে শুরু করে মোমো সব বানানো হয় তেলেই
এছাড়াও কাজের চাপে সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া হয় না। ঠিকমতো খাবার না খাওয়ার কারণে খিদেও যথা সময়ে পায় না। এবার খাওয়ার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর খেলে তা ঠিক ভাবে হজম হয় না আর খিদের চোটে তখন বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায়
অনেকেই ভাবেন কম তেলে সুস্বাদু রান্না হয় না। স্বাস্থ্যকর রান্না মানেই খেতে খারাপ। এই ধারণা একেবারেই ভুল। কম তেলেই সবথেকে ভাল রান্না হয়। আর তা সুস্বাদুও হয়
প্রথমেই কড়াই বদলে ফেলুন। অ্যালুমিনিয়াম বা স্টিলের কড়াইতে অনেক বেশি তেল লাগে। পরিবর্তে ভাল মানের ননস্টিক ব্যবহার করুন। এতে অনেক কম তেল লাগে আর কম আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করা যায়
বোতল থেকে সরাসরি তেল ঢেলে রান্না নয়। রোজকার ব্যবহারের তেল একটা বাটিতে সরিয়ে রাখুন। সেখান থেকে মেপে মেপে ব্যবহার করে রান্না করুন। এতে কম তেল খাওয়া হবে
রোজ বাড়িতে খেলেও ভাজা খাবেন না। যে কোনও ভাজা বা রগরগে কষে করা রান্নায় তেল-মশলা দুই বেশি লাগে। মাছ, মাংস আগে থেকে টকদই বা তেল দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। এতে রান্নার সময় তেল কম লাগে