দই হল দারুণ একটি সুপার ফুড। ছোট থেকে বড় সকলেই টকদই খেতে পারেন। টক দই পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের একটি আশ্চর্যজনক উৎস
এছাড়াও এতে বি কমপ্লেক্স ভিটামিন, ফসফরাস, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। বিপাক ঠিক রাখতে টকদই এর জুড়ি মেলা ভার, শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন বের করে দেয় টকদই
ল্যাকটোব্যাসিলাস বুলগারিকাস এবং স্ট্রেপ্টোকক্কাস থার্মোফিলাসের মতো প্রোবায়োটিকগুলি দই তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। যা দুধকে গাঁজিয়ে দেয় আর সেখান থেকে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হয়
ল্যাকটিক অ্যাসিড এইভাবে তৈরি হয়। দুধে উপস্থিত প্রোটিনগুলিকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এই ল্যাকটিক অ্যাসিড,যার ফলে এটি একটি ঘন গঠন এবং টক স্বাদ নেয়। আর তাই তা আমাদের অন্ত্রের জন্য ভাল
দই এবং পনিরের মধ্যে পার্থক্য সূক্ষ্ম, উভয়ই কিছুটা অনুরূপ পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি দুগ্ধজাত পণ্য। দুধ গাঁজিয়ে দই তৈরি হয় এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয় এর ফলে
দুধ এর মধ্যে লেবু বা ভিনিগার দিয়ে ছানা কাটানো হয়। অ্যাসিডিক পদার্থ যোগ করা হয় বলেই পনির জমাট বেঁধে যায়। তবে দই ও পনীর কন্তু গছনগত দিক থেকে আলাদা
প্রতিদিন দই খাওয়া, আমাদের মলত্যাগ নিয়মিত রাখে এবং আমাদের শরীরের উন্নতি করে। এটি অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এবং আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে ভাল রাখে
টক দই নিয়মিত খেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে, ক্যানসারের বিরুদ্ধেও লড়াই করে দই। রোজ সকালে একবাটি করে টকদই খান