মাছ শরীরের জন্য উপকারী। আর ছোট জ্যান্ত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সব সময় তো সেই মাছ পাওয়া সম্ভব হয় না। আর রোজ রোজ কাতলা, পমফ্রেট, পাবদা এসব খাওয়া ঠিক নয়
পরিবর্তে বানিয়ে নিন বাটা মাছ। গরম ভাতের সঙ্গে কুড়মুড়ে বাটা মাছ ভাজা আহ! তবে, শীতের দিনে মাখো মাখো করে সর্ষেবাটার ঝাল খেতেও মন্দ লাগে না। আর সহজে তৈরি করা যায়
এই মাছ বানাতে যা যা লাগছে-
বাটা মাছ, কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ কুচি, সর্ষে বাটা, কালো জিরে, লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদগুঁড়ো, ধনেপাতা কুচি, টমেটো, পরিমাণ মতো তেল ও নুন
বাজার থেকে বাটা মাছগুলোকে ধুয়ে বেছে নুন-হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে কালোজিরে ও কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিন
ফোড়নের তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। এর পর দিন কুচিয়ে রাখা টমেটো। বেশ ভাজা ভাজা হয়ে গেলে সর্ষে বাটা ও সামান্য জল মিশিয়ে দিন। সর্ষে বাটা ছেঁকে মেশাবেন, নইলে তিতকুটে লাগবে
এর পর লঙ্কাগুঁড়ো ও হলুদগুঁড়ো দিন। এর পর দিন ভেজে রাখা বাটা মাছ ও নুন। কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।
মিনিট ১৫ ধরে রান্নাটা সারতে হবে। তবে, মাঝে-মধ্যে একবার মাছগুলোকে উল্টে দিতে হবে যাতে সমানভাবে রান্না হয়
মাছ রান্না হয়ে গেলে ঢাকনা খুলে সামান্য ধনেপাতা কুচি ও কাঁচা সর্ষের তেল উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে। চাইলে চেরা কাঁচালঙ্কাও দিতে পারেন
গ্যাস বন্ধ করে বেশ কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। এর পর গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। সর্ষে হজম করতে সমস্যা হয়। তাই পোস্তর সঙ্গে মিশিয়ে বাটতে পারেন। তবে যার সর্ষেতে সমস্যা রয়েছে তাকে ভুল করেও দেবেন না