আজ গণেশ চতুর্থী। কাল থেকেই দেশ জুড়ে মহাসমারোহে হচ্ছে গণপনিত পুজো। সিদ্ধিদাতা গণেশের আরাধনা হচ্ছে বাড়ি থেকে অফিস সর্বত্রই, গত কয়েক বছরে আমাদের রাজ্যেও এই পুজোর ধুম বেড়েছে
মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তেলঙ্গানায় এই পুজোর ধুম খুব বেশি। ওখানে প্রতি বাড়িতে হয় গণেশ বন্দনা। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সেখানে চলে উৎসব, এছাড়াও সেখানে গণেশের বিসর্জনও দেখবার মত হয়
কেউ বলেন গণপতি, কেউ গণু দাদা আবার কেউ গণশা। আর আদরের গণেশ বন্দনা তাই অনেকেই আন্তরিকতার সঙ্গে আয়োজন করেন। যে কোনও শুভ কাজ বা পুজো শুরুর আগে প্রথমে গণেশের পুজো করা হয়
যে কোনও পুজোই আমাদের কাছে আনন্দের বার্তা বয়ে আনে। ঘর পরিষ্কার করে আলপনা দিয়ে, পছন্দের প্রসাদ সাজিয়ে পুজো দেওয়ার মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ থাকে
আজকাল সকলেই অনেক রকম ব্যবসা করেন। ব্যবসার প্রতিপ্রত্তির জন্য গণেশের পুজো অনেক দিন ধরেই করা হয়। তেমনই যাঁরা নিজের হাতে বিভিন্ন জিনিস বানান, যাঁরা পড়ুয়া, যারা বিভিন্ন সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদেরও আরাধ্য দেবতা গণেশ
গণেশের সবচেয়ে পছন্দের খাবার হল লাড্ডু আর মোদক। আর তা থাকবেই পুজোর প্রসাদে। বাড়িতে গণেশের প্রিয় বেসনের লাড্ডু বানিয়ে নিতে পারেন খুব সহজেই
শুকনো কড়াইতে প্রথমে বেসন রোস্ট করে ওর মধ্যে চিনি মিশিয়ে আবারও নেড়ে নিতে হবে। এবার ওর মধ্যে ঘি মিশিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না একটা সুন্দর পাক হচ্ছে, পাক ভাল হলে কড়াই থেকে ছেড়ে আসবে
এবার হাতে সামান্য ঘি বুলিয়ে পাকিয়ে নিন লাড্ডু। বেসনের লাড্ডু খেতে খুবই ভাল হয়। আর যদি বাড়িতে বানানো ঘি দিয়ে এই লাড্ডু বানান তাহলে তা খেতে আরও ভাল হয়, এছাড়াও প্রসাদে মোদক, খিচুড়ি, আলুরদম এসবও দিতে পারেন