শেষপাতে মিষ্টি খেতে কে আর না ভালবাসে। এদিকে মিষ্টি খেলেই যে সুগার বাড়বে তা কারোর অজানা নয়। তবে একবার ঠাকুরবাড়ির প্রসিদ্ধ এই মালপোয়া বানাতে পারেন, এই মালপোয়ার মূল উপকরণ দই
ঠাকুর বাড়িতে রান্না নিয়ে অনেক রকম এক্সপেরিমেন্ট চলে। এখানকার সব মহিলারাই রন্ধন পটিয়সী। রান্না নিয়ে তাঁরা নানা রকম এক্সপেরিমেন্টও করতেন। নিজের মনের মত যেমন রান্না করতেন তেমনই সেই সব রান্নার নামও দিতেন
প্রথমে বাড়িতে পাতা টকদই একটি সুতির কাপড়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার সেই দই একটি পাত্রে নিয়ে খুব ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। এবার ওর মধ্যে ২ চামচ ময়দা মিশিয়ে নিন
এবার এর মধ্যে একটু মৌরি আর চিনি মিশিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজন হলে অল্প জল মেশান। ব্যাটার যেন খুব বেশি পাতলা না হয় সেইদিকে খেয়াল রাখুন
কড়াইতে তেল আর ঘি মিশিয়ে গরম করতে দিন। এবার ওর মধ্যে একটা একটা মালপোয়া দিয়ে ভেজে নিতে হবে। লাল করে ভেজে নিয়ে চিনির রসে ডুবিয়ে দিতে হবে
চিনির রস থেকে উপরে তুলে উপর থেকে কাজু, কিশমিশ, খোয়া ক্ষীর ছড়িয়ে দিতে হবে। ব্যাস তৈরি দই এর মালপোয়া। এই মালপোয়া খেতে খুবই ভাল লাগে
কবিগুরুর নাতনি প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী খুব ভাল রান্না করতেন। তাঁর রান্নার অনেকবার প্রশংসা করেছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। শেষ পাতে মিষ্টি তাঁর বিশেষ পছন্দের ছিল
পুজোর দিনে একবার অবশ্যই বানিয়ে নিন এই পদ। খেতে লাগবে খুবই ভাল। আর পুজোর সময় অনেক বাড়িতেই পুজো হয়, এক্ষেত্রে প্রসাদেও নিবেদন করতে পারেন দই দিয়ে তৈরি এই মালপোয়া