পুজো মানেই বাড়িতে জমজমাট খাদ্য উৎসব। তখন কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন। রোজই ভাল-মন্দ রান্না হয়, এছাড়াও দল বেঁধে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া তো থাকেই
ইলিশ আর চিংড়ি যেমন মেনুতে থাকবেই তেমনই এই দুই পদ নিয়েও কিন্তু দ্বন্দব চলতেই থাকবে। আর তাই বাড়িতেই বানিয়ে নিন পুরনো দিনের এই পদ
চিংড়ির ধোঁকা, নাম শুনেছেন? সাধারণত ছোলার ডাল দিয়েই নিরামিষ ঢোঁকার ডালনা বানানো হয় আর এই ধোঁকা বানানো হবে চিংড়ি দিয়ে
চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করে ছাড়িয়ে বেটে রাখুন। এর পরে ছোলার ডাল কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে এক চামচ পেঁয়াজ বাটা এবং অর্ধেক চামচ আদা-রসুন বাটা দিয়ে কষতে থাকুন
এ বার চিংড়ি বাটা, সামান্য নুন এবং নারকেল কোরা একটি বাটিতে নিয়ে একসঙ্গে মেখে ফেলুন। কড়াইতে পেঁয়াজের কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তাতে দিয়ে দিন চিংড়ি বাটার এই মিশ্রণ। ভাল করে নাড়তে থাকুন
কিছুক্ষণ কষানো হয়ে গেলে ডালবাটা দিয়ে ফের ভাল করে মেশাতে থাকুন। সমস্ত উপকরণ মিশে জমাট বেঁধে গেলে একটি থালায় সর্ষের তেল মাখিয়ে তাতে মিশ্রণটি ঢেলে দিন
এবার তা থালায় ঢেলে বরফির আকারে কেটে ফেলুন। ১৫ মিনিট বাইরে রেখে তেলে বাদামী করে ভেজে নিলেই তৈরি ধোঁকা। একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, গোটা গরম মশলা, শুকনো লঙ্কা এবং গোটা জিরে ফোড়ন দিন
ফোড়নের গন্ধ বেরোলে তাতে মেশান পেঁয়াজ বাটা। পেঁয়াজের কাঁচা গন্ধ চলে গেলে এ বার দিন আদা-রসুন বাটা, এরপর টমেটো পিউরি, হলুদ-ধনে-জিরে-লঙ্কা-নুন-চিনি-কাজুবাচা-নারকেলের দুধে গ্রেভি বানিয়ে ধোঁকা মেশান