তুলসীকে আমরা অনেকেই “সঞ্জীবনী” বলে থাকি। এটি এমন একটি ঔষধি গাছ যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পাওয়া যায়। তুলসি এমনসব গুণে পরিপূর্ণ যা সমস্ত রোগ দূর করে এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে
এর পাশাপাশি ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ক্রিম ও রাসায়নিক পণ্যের চেয়ে তুলসী অনেক কার্যকরী। তবে তুলসীর অনেক প্রজাতি রয়েছে, তাদের মধ্যে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণ প্রধান। এদেরকে রাম তুলসী বা কৃষ্ণ তুলসীও বলা হয়ে থাকে
তুলসীর পুষ্টিগুণ ত্বকের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। আমেরিকান জার্নাল অফ এথনোমেডিসিনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এতে ভিটামিন এ এবং সি এর মতো পুষ্টি রয়েছে
এগুলি ছাড়াও, তুলসী বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর একটি ভাল উৎস, যা ত্বকের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। গাছ থেকে সরাসরি তুলসী পাতা খাওয়া যেতে পারে। তুলসী পাতার মতো তুলসী বীজেও হাজারো উপকারিতা রয়েছে। তুলসীর বীজ ও পাতা গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে পারেন
এছাড়া এই পাতায় এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কফ, বাত দোষ কমায়, হজম শক্তি ও ক্ষুধা বাড়ায় এবং রক্ত পরিশুদ্ধ করে। এ ছাড়া জ্বর, হৃদরোগ, পেটের ব্যথা, ম্যালেরিয়া ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ইত্যাদিতে তুলসী পাতা খুবই উপকারী
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, তুলসীর একটি শোধনকারী প্রভাব রয়েছে, যা রক্তকে বিশুদ্ধ করে তুলতে সাহায্য হরে। এর ফলে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসে। স্কিন টোনার হিসেবেও তুলসী ব্যবহার করা যায়
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতেও তুলসী ব্যবহার করা যেতে পারে। তুলসী পাতা থেকে নিষ্কাশিত তেলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রভাব রয়েছে। যা ব্রণ সারিয়ে ফেলে
এছাড়াও এতে উপস্থিত লিনোলিক অ্যাসিড অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ব্রণর কালো দাগও সারিয়ে দেয়