ভাবছেন তো মাংস, তায় আবার পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া কী ভাবে খাওয়া যাবে? একবার পাঁঠার মাংস এভাবে বানিয়ে খান, অনেকদিন পর্যন্ত স্বাদ মুখে লেগে থাকবে
এভাবে মাংস বানিয়ে নেওয়া কিন্তু কঠিন নয়। যে কোনও পুজোর বাড়িতে এভাবেই মাংস বানানো হয়। বিশেষত পুজোর বাড়িতে নবমীতে যে কষা মাংস হয় তাতে কিন্তু পেঁয়াজ-রসুন কোনওটাই পড়ে না
মাংস ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখতে হবে। তাতে পরিমাণমতো নুন, ১ চা চামচ হলুদগুঁড়ো, আদাবাটা, জিরেবাটা, লঙ্কাগুঁড়ো, পাতিলেবুর রস, সরষের তেল, টকদই, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ম্যারিনেট করুন
কড়াই বসিয়ে শুকনো খোলায় মশলা ভেজে নিতে হবে। গোটা ধনে ১ চা চামচ, জিরে ১ চা চামচ, গোলমরিচ গোটা ১/২ চা চামচ, সেদ্ধ চাল ২ চা চামচ, দারুচিনি, ছোটো এলাচ, লবঙ্গ, জায়ফল, জয়িত্রী দিয়ে নেড়ে নিতে হবে
ভাজা মশলা গুঁড়িয়ে নিতে হবে। একগ্লাস মাপের গরম জল রেডি করে রাখুন। কড়াইয়ে ২ টেবিল চামচ সরষের তেল দিয়ে গরম হলে তাতে গোটা জিরে ফোড়ন দিতে হবে
এবার তাতে তাতে টমেটোর টুকরো দিয়ে নেড়ে তার পর মাংস দিতে হবে। এর পর মাংসের বাটিতে সামান্য জল দিয়ে বাটিধোয়া জলটা কড়াইয়ে দিয়ে দিতে হবে
ভালো করে কষিয়ে রান্না করতে হবে। মাঝে মধ্যে চাপা দিয়ে কষালে জল বেরিয়ে সেদ্ধ হতে থাকবে। এর পর জল শুকিয়ে হালকা ভাজা মতো হলে তাতে গরম জল দিয়ে ভালো করে নেড়ে জল কমে এলে আবার একটু গরম জল দিয়ে কষাতে হবে
তেল ছেড়ে গেলে এর পর প্রেসার কুকারে মাংস ঢেলে গরম জল দিয়ে ভালো করে নেড়ে কম আঁচে বসিয়ে একটা সিটি এলে বন্ধ করে দিতে হবে। এর পর গুঁড়িয়ে রাখা ভাজা মশলা ছড়িয়ে ভালো করে ফুটিয়ে একটা সিটি আসার আগেই নামিয়ে নিতে হবে