ওটস আমাদের শরীরের জন্য ভাল। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। ক্যালোরি একেবারেই থাকে না। যে কারণে ওটস খেলে ওজন কমে, আর তা শরীরের জন্য ভাল
ওটস সহজপাচ্য, সহজে খেলেই হজম হয়ে যায়। তাই বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেই ওটস খেতে পারেন। বাচ্চারা যখন খাওয়া শেখে তখন তাদের ডায়েটে প্রথমেই ওটস রাখা হয়
চটজলদি ওজন কমাতে চাইলে আগেই বদলে ফেলতে হয় ডায়েটের রোজনামচা। স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই অনেকে প্রাতরাশে ওটস রাখেন। কেউ ফল মিশিয়ে খান, কেউ দুধ বা দই দিয়ে আবার কেউ খিচুড়ি বানিয়ে খান
ওটসের রুটি, পরোটা, পোলাও এসব খেতেও কিন্তু মন্দ লাগে না। ওটস শুকনো কড়াইতে নেড়ে গুঁড়ো করে রেখে দিন। এবার টকদই আর জিরে গুঁড়োর সঙ্গে এই ওটস মিশিয়ে দোসা বানিয়ে নিতে পারেন
দিনের পর দিন ওটস খেয়েও যদি কোনও ফল না হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। শুধু ওটস খেলেই হবে না। এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডায়েট, ব্যায়াম, শরীরচর্চা এসবও মেনে চলতে হবে
বাজারে তিন ধরনের ওটস পাওয়া যায়। স্টিল কাট ওটস, রোলডওটস এবং ইনস্ট্যান্ট ওট্স। এদের মধ্যে স্টিল কাট ওটস কেনাই সবচেয়ে ভাল
এতে বাকি দু’টির মতো রাসায়নিক মেশানো থাকে না। আবার এতে ফাইবারের পরিমাণও অনেক বেশি। তাই ওজন কমাতে চাইলে স্টিল কাট ওটস কিনুন। সঙ্গে নিয়ম মেনে খান
খুব বেশি ওটস খেলেই যে কাজ হবে এমন নয়। ওটস অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে। প্যাকেটবন্দি মশলাদার ওটস একদম নয়। সাদা ওটস কিনুন। তাই নিজের মত করে বানিয়ে খান। ওটসের রেডি টু ইট খাবার একদম নয়
ওটসের মধ্যে চিনি মেশাবেন না। প্রয়োজনে মধু বা ম্যাপেল সিরাপ মিশিয়ে নিন। পছন্দের ফল, দই, দুধ মিশিয়ে খান। ওটসের মধ্যে খেজুর বা সবেদা মিশিয়ে খেতে পারেন। ড্রাই ফ্রুটস দিতে কিন্তু ভুলবেন না