গর্ভাবস্থায় কেবল নিজের নয়, গর্ভস্থ সন্তানেরও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখতে হয়। তাই এই সময়ে খাবার নির্বাচনেও সতর্ক হওয়া জরুরি।
গর্ভাবস্থায় এমন খাবার খাওয়া উচিত, যাতে নিজের সঙ্গে গর্ভস্থ সন্তানও পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়। একটি ফলেই মিলতে পারে একাধিক পুষ্টিগুণ।
কলাকে বলা হয় এনার্জি বুস্টার। ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড-সহ বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ কলা গর্ভবতীদের জন্য দারুণ খাবার।
গর্ভাবস্থায় ঘুম থেকে ওঠার পর মাথাব্যথা, অ্যাসিডিটির মতো মর্নিং সিকনেস থাকে। কলায় থাকা ভিটামিন-বি এগুলি সহজেই দূর করে।
গর্ভাবস্থায় প্রায়ই রক্তচাপ ওঠা-নামা করে। কলায় থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই গর্ভবতীরা ডায়েটে কলা রাখুন।
রক্তাল্পতা গর্ভবতীদের জন্য বড় সমস্যা। তাই আয়রন-সমৃদ্ধ কলা রোজ ডায়েটে রাখলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে এবং এনার্জি জোগায়।
কলায় থাকা ভিটামিন বি ৬, আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। তাই গর্ভবতীদের ডায়েটে কলা আবশ্যক।
গর্ভাবস্থায় অ্যাসিডিটি, বুকজ্বালা হলে খুবই কষ্টকর। এর প্রভাব গর্ভস্থ শিশুর উপরেও পড়ে। নিয়মিত কলা খেলে হজমের সমস্যা কমে এবং পাকস্থলীতে অম্লতার মাত্রা কমে।