কেন মাঝে মাঝেই চুমুক দেবেন ইষদুষ্ণ জলে?

28 August 2023

আজকাল সকলেই বলেন সময় পেলে ইষদুষ্ণ জলে চুমুক দিতে। দিনের মধ্যে বার বার গরম জলের গ্লাসে চুমুক দেওয়া এখন ট্রেন্ড। সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই অন্তত দু গ্লাস এই জল খান

হজমের সমস্যা থেকে গ্যাস অম্বল- সব কিছুর সমাধান লুকিয়ে থাকে এই একগ্লাস ইষদুষ্ণ জলেই। এছাড়াও বাড়ির বড়রা সব সময় বলেন ইষদুষ্ণ জল খেতে। জানুন এই জল খাওয়া কতটা উপকারী

এই জলের উপকারিতা কতখানি বা আদৌ উপকারে লাগবে কিনা এ নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্নের শেষ নেই। অনেকের কাছে ঠিকমতো এর উত্তরও থাকে না

ইষদুষ্ণ জল নিয়মিত খাওয়ার অনেক রকম উপকারিতাও রয়েছে। যে কোনও খাবার সহজে হজম হয়। গ্যাস-অম্বল-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও সহজে এড়িয়ে চলা যায়। বিপাকের গতিও বাড়ায়

তবে গরম জল খেলেই যে ওজন কমে যাবে এরকমটা একেবারেই নয়। আর গরম জলে লেবু মেশালে সবচেয়ে ক্ষতি। এতে লেবুর গুণ নষ্ট হয়ে যায় সেই সঙ্গে হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি এসব হতে পারে

গরম জল খেলে ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপও এড়ানো যায় না। কোভিডকালে অনেকেই বেশি করে গরম জল খেতেন। জল বেশি গরম হলে তা আবার শরীরের জন্যেও ভাল নয়। অন্ত্র পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে

বাচ্চাদের সব সময় এই গরম জল দেবেন না। এতে তাদের শরীরের ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে গরম জলে সামান্য মধু মিশিয়ে দিতে পারেন। এতে পেট ভরবে আর শরীরও ঠিক থাকবে

রোজ রোজ সব সময় গরম জল খাবেন না। দিনের মধ্যে দু গ্লাস খেতেই  পারেন। তবে ঘন ঘন খেলে যে প্রচুর কাজ হবে বা ওজন কমবে এরকম একেবারেই নয়

খুব গরম জল খাবেন না। জল বেশি গরম হলে তার সঙ্গে সাধারণ তাপমাত্রার জল মিশিয়ে খাবেন। হজমের জন্য এই জল খাওয়াকেই অভ্যাসে পরিণত করবেন না