4 NOV 2024

এই নিয়ম মানলে সুগার রোগীরাও খেতে পারবেন কাড়ি কাড়ি মিষ্টি!

credit: getty images

TV9 Bangla

মিষ্টি খেতে ভালবাসেন না এমন বাঙালি কমই আছেন। তার উপর সবে মাত্র ভাইফোঁটা গিয়েছে। মানে দিদিদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফোঁটা নিয়েছেন অনেকেই।

সুতরাং বাড়িতে এখন মিষ্টির সম্ভার। তবে লোভ যতই হোক না কেন, মিষ্টি খাওয়া মানেই কিন্তু গুচ্ছ গুচ্ছ ক্যালোরি শরীরে যাওয়া। তবে সঠিক নিয়ম মেনে চললে মিষ্টিও হয়ে উঠতে পারে হেলদি। কী ভাবে জানেন?

রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে না চাইলে, খালি পেটে কখনও মিষ্টি খাবেন না। সকালে উঠে খালি পেটে প্রথমেই মিষ্টি খেয়ে নিলে সুগার বাড়তে বাধ্য। মিষ্টি খাওয়ার উপযুক্ত সময় দুটো খাবারের মাঝের সময়।

দুপুরে খেয়ে উঠে মিষ্টি খেলে তা তাড়াতাড়ি হজম হয়। ওই সময় শরীরের বিপাক হার ভাল থাকে। রাতের খাবার সেরে মিষ্টি খাওয়া থেকে কিন্তু বিরত থাকতে হবে। এই অভ্যাস খুবই খারাপ।

কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভাল না। সুগার রোগী হয়েও খুব মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে সুগার ফ্রি মিষ্টি খেতে পারেন। রসগোল্লা জাতীয় মিষ্টি খেলেও এক সঙ্গে বেশি খাবেন না।

 প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবারের মতো খাবারের সঙ্গে মিষ্টি খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। মিষ্টি খাবার পরে এক মুঠো শুকনো ফল বা বাদাম খেয়ে নিয়ে পারেন।

মিষ্টি খেলে সেই দিন নরম পানীয়, প্যাকেটজাত খাবার বা ফলের রস থেকে দূরে থাকুন। এতে ক্যালোরি বা খারাপ ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে মেথির জল খান, শরীর ডিটক্স করতে সাহায্য করবে।

ফল দিয়ে তৈরি স্যালাড দিয়েও মিষ্টি খেতে পারেন। দুপুরে বা রাতে বেশি ভাজাভুজি খাওয়া হলে, সেই দিন মিষ্টি খাওয়া থেকে দূরে থাকাই ভাল। মরসুমি ফল বা সবজির ভেজানো জল শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে।