শরীর সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা নেয় শর্করা। অতিরিক্ত শর্করা ডায়াবেটিস-সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, আবার দেহে শর্করা কম হলে নানা সমস্যা দেখা দেয়।
শর্করা বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। তবে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক হল গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ। এগুলি দেহে আলাদা প্রভাব ফেলে।
ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ- দুটিই চিনি যৌগ। গ্লুকোজ মনোস্যাকারাইড এবং ফ্রুক্টোজ গ্লুকোজের বিপরীতে কেটোজ গ্রুপের অন্তর্গত। শরীরে দুটি উপাদান ভিন্ন প্রভাব ফেলে।
গ্লুকোজ বিপাকক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় এবং বিভিন্ন অঙ্গে শক্তি সরবরাহ করে। আর ফ্রুক্টোজের অতিরিক্ত ব্যবহার ডায়ারিয়া, বদহজম, পেট ফাঁপার জন্য দায়ী।
লিভারে মেদ জমাতে বড় ভূমিকা নেয় ফ্রুক্টোজ। ফলে দেহের ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে এটা। অন্যদিকে, গ্লুকোজ মেদ জমার ক্ষেত্রে কম ভূমিকা নেয়।
মস্তিষ্কের মাইটোকন্ড্রিয়ার কর্মহীনতা ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের জন্য দায়ী ফ্রুক্টোজ। ফলে একাধিক স্নায়বিক রোগের কারণ এটি।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, চকোলেট, তরল পানীয়, জাঙ্কফুড, গুড়, ক্যান্ডি এবং কিছু ফলে থাকে ফ্রুক্টোজ। এগুলি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
আলু, খেজুর, কিশমিশ, কর্ণফ্ল্ক্স, চিঁড়ে, সুজি-সহ বিভিন্ন খাদ্যশস্যেও থাকে গ্লুকোজ। কম রক্তচাপের রোগী এবং অসুস্থদের ক্যালোরি জোগাতে গ্লুকোজ কার্যকরী।