অনেকেই মনে করেন, মুরগির ডিমের কুসুমের মতোই হাঁসের ডিমের কুসুমও অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই সুস্থ-সবল জীবন চাইলে এই দুই ধরনের ডিমের কুসুমই এড়িয়ে চলা ভাল।
কিন্তু পুষ্টিবিগ বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন অন্য কথা। তাঁদের মতে, হাঁসের ডিমের কুসুমে রয়েছে ভিটামিন বি১২, ভিটামিন এ, আয়রন, জিঙ্ক সহ একাধিক জরুরি ভিটামিন এবং খনিজ।
তাই প্রায়দিন হাঁসের ডিমের কুসুম খেলে যে দেহে পুষ্টির ঘাটতি কিছুটা হলেও মিটিয়ে ফেলতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য!
শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কি না দেহে প্রদাহের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। তাই ডায়েটে হাঁসের ডিমের কুসুম রাখতেই পারেন।
তবে মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিমে অনেকটা বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল রয়েছে। সেক্ষেত্রে সাবধান থাকতেই হবে।
একটা মুরগির ডিমের কুসুমে যেখানে ৯০ থেকে ৯২ মিগ্রা কোলেস্টেরল থাকে, সেখানে হাঁসের ডিমে থাকে প্রায় ২৭০ মিগ্রা। আর এই কোলেস্টেরল হার্টের জন্য ভীষণই ক্ষতিকর।
তাই হার্টের রোগীদের হাঁসের ডিমের কুসুম খেতে একদমই বারণ করা হয়। এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনারা সুস্থ থাকতে পারবেন।
যে কোনও সুস্থ মানুষ প্রতিদিন একটা করে হাঁসের ডিমের কুসুম খেতেই পারেন। তাতেই দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে।