অক্টোবর শেষ দিক। কালী পুজোও চলে এল। তারই সঙ্গে বদলাতে শুরু করেছে আবহাওয়া। সন্ধের পর রাত বাড়লেই যেন একটা ঠান্ডা ঠান্ডা আমেজ চারপাশে। যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য এই সময় যেন যম!
পরিবারের কারও এই সমস্যা থাকলে এখন থেকেই সাবধান হন। মরসুম বদলের সময় শীতের হাত থেকে বাঁচতে ভরসা রাখতে পারেন সাদা তিলে। সাদা তিল শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। আর কী কী উপকার আছে জানেন?
সাদা তিলে আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। ফাইবার বেশি থাকলে সেই ধরনের খাবার শরীরের বিপাক হার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবিটিস জাতীয় রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে তিল।
যে কোনও রোগের সংক্রমণের ক্ষেত্রে বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন ডায়াবিটিকদের। নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে শীতের সময়ে ডায়াবেটিকরা নিয়মিত সাদা তিল খেতে পারেন!
শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে ত্বকের জেল্লাও কমে যায়। তবে তিলের তেল ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে বেশ কার্যকরী। তাই শীতকালে ত্বকের যত্ন নিতেও সাদা তিল খেতে পারেন। এতে ত্বক ভিতর থেকে সতেজ হয়ে ওঠে।
সাদা তিল ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাসে ভরপুর। সাদা তিল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে অসম্ভব সহায়ক। শীতকালে বা মরসুমের বদলের সময়ে তিল খেলে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ে।
মরসুমের বদলের সময় মূলত ঠান্ডা লাগার কারণেই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। ভাইরাস সংক্রমিতঁ জ্বর-সর্দি-কাশিতেও আক্রান্ত হন বহু মানুষ। তবে সাদা তেল খেলে যেহেতু সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, তাই সর্দি-কাশি চট করে কাবু করতে পারে না।
তবে মনে রাখবেন, যদি খুব বাড়াবাড়ি রকমের শরীর খারাপ হয়, তাহলে নিজে থেকেই ওষুধ খাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই প্রতিবেদনটি সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য লেখা। তাই কারও যদি তিলে এলার্জি থাকে তাহলে এই বীজ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।