বসন্তের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আর এই সময়ে সর্দি, খুসখুসে কাশির সঙ্গে চুলকানি, ব়়্যাশের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। অধিকাংশ সময়ই এগুলির প্রধান কারণ ডাস্ট অ্যালার্জি।
ঘরোয়া কয়েকটি টোটকা মেনে চললে এবং সাধারণ কয়েকটি খাবার রোজ পাতে রাখলেই ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে বাঁচা সম্ভব। যেমন, অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর পালং শাক, বাঁধাকপি, পেঁয়াজপাতা।
ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে খুসখুসে কাশি হয়। কাশি কমাতে খুব উপকারী মধু। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ টেবিল চামচ মধু খান।
অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে আপেল সিডার ভিনিগার খুব উপকারী। রোজ এক গ্লাস হালকা গরম জলে ২ চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন। তাহলে ডাস্ট অ্যালার্জির ঝুঁকি অনেকটা কমবে।
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল অ্যালার্জির সমস্যা সমাধানে দারুণ কাজ করে। হালকা গরম জলে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ভেপার নিতে পারেন বা জলে মিশিয়েও স্নান করতে পারেন।
ত্বকের যে কোনও সমস্যায় ভাল কাজ করে অ্যালোভেরা। চুলকানি বা ব়্যাশের সমস্যায় অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ থাকলে সেই পাতা রস করেও ত্বকে লাগাতে পারেন।
প্রদাহ বা ত্বকের যে কোনও সমস্যায় খুব কার্যকরী হলুদ। তাই প্রতিদিনের রান্না করা খাবারে হলুদ ব্যবহার করা ভাল। এছাড়া হলুদ বেটে ত্বকে মাখলেও প্রদাহ, ব়্যাশের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আদায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ফাইটোকেমিক্যাল যৌগ রয়েছে, যা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকরী। তাই রোজ আদা চা খাওয়া উপকারী।
যে কোনও ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে কার্যকরী ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে লেবু, আমলকি, টমেটো রাখুন।