সবুজ শাক-সবজির কথা উঠলেই যে নামটি প্রথমে মনে আসে, সেটা হল পালং শাক। পালং শাকের ঘণ্ট, পালং পনির, পালং শাক ভাজা যেমন সুস্বাদু, তেমনই এই শাকের স্বাস্থ্যগুণও অপরিসীম।
আয়রন এবং ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে-তে সমৃদ্ধ পালং শাক বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখা থেকে রক্তচাপ কমাতে এবং ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী পালং শাক।
পালং শাকে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার রয়েছে, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। ফলে হজম সমস্যা বাড়াতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে এই শাক
আয়রন-সহ দেহের অন্যান্য খনিজের উৎস হল পালং শাক, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে যাঁরা রক্তাল্পতায় ভোগেন, তাঁদের জন্য পালং শাক খুবই উপকারী।
পালং শাকে প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকে, যা দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এছাড়া পেশি দৃঢ় করতে এবং হার্ট ও স্নায়ুতন্ত্রের কাজ ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় পালং।
পালং শাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইটোকেমিক্যাল এবং ভিটামিন-এ থাকে, যা দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া পালং শাকে থাকা উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়।
পালং শাকে থাকা ভিটামিন-এ ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া পালংয়ে ফ্রি-ব়্যাডিকেল ধ্বংস করে অকাল বার্ধক্য এবং ক্যানসার প্রতিরোধে প্রতিরোধ করে।
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিনেজা রয়েছে, যা কার্ডিওভাসক্যুলার সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া নাইট্রেট-সমৃদ্ধ পালং শাক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।