দীর্ঘ আয়ু পেতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস বজায় রাখা একান্ত আবশ্যক। ব্যালেন্স ডায়েট শরীরে বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এসব বজায় থাকলে শরীর থাকে সুস্থ।
শরীর যদি সুস্থ থাকে। রোগের বাসা না হয়ে ওঠে তাহলে জীবন হয়ে ওঠে সুন্দর। স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিত ভাবে আয়ু বৃদ্ধিতে সহায়ক।
শরীরকে সুস্থ রাখার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ভিটামিন। বিভিন্ন রকম ভিটামিন শরীর ঠিক মাত্রায় থাকলে তা যেমন বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনা কমায়, তেমন শরীরকে রাখে সুস্থ।
এ রকমই পাঁচটি ভিটামিনের কথা জানাব আমরা। তবে এই ভিটামিন সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে নেওয়ার থেকে খাবারে মাধ্যমে গ্রহণ করা সুস্থ শরীরের জন্য কাম্য।
ভিটামিন ডি: মানুষের শরীরে এই ভিটামিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সানসাইন ভিটামিন হিসাবে পরিচিত ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, হৃদরোগ, ক্যানসারের মতো রোগের সম্ভাবনা কমায়।
ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই ভিটামিনের জুড়ি নেই। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে তা। লেবু জাতীয় ফল, কিউয়ি, ব্রকোলির মতো খাবারে আছে প্রচুর ভিটামিন সি।
ভিটামিন ই: স্ট্রেস এবং প্রদাহ থেকে কোষকে রক্ষা করে বয়স জনিত রোগের সম্ভাবনা কমায়। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণ রয়েছে। বাদাম, বীজ, পালং শাক, ভেজেটেবল অয়েলে এই ধরনের ভিটামিন থাকে।
ভিটামিন বি১২: লোহিত রক্ত কণিকার তৈরিতে ভূমিকা থাকা এই ভিটামিন স্নায়ুর কাজে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। ডিম, মাছ. মাংস, সিফুড, দুগ্ধজাত খাবারে এই ভিটামিন প্রচুর থাকে।
ভিটামিন কে২: রক্ত সংবহনের জন্য এই ভিটামিন আবশ্যক। হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য, হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত করে। এই ধরনের রোগ থেকে শরীরকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।