মহিলাদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্যে ব্যঘাত ঘটলে পিসিওএস সমস্যাও দেখা যায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে বেড়ে যায় ইনসুলিনের মাত্রাও।
পিসিওএস আক্রান্ত হলে নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ডায়েট। বিশেষ করে মিলেট জাতীয় খাবার খুব উপকারী কারণ এটি ফাইবারের ভাল উৎস। কী ধরনের মিলেট রাখবেন ডায়েটে?
রাগিতে আছে ক্যালশিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ উপাদান। আবার ফাইবারের ভাল উৎস। এই সব উপাদান ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
রাগির গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক কম হওয়ায় রক্তে ইনসুলিনের সমতাও বজায় রাখতে রাগি বেশ উপকারী। ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি ঠিক থাকলে পিসিওএস-এর সমস্যা বশে সম্ভব।
ফক্সটেল মিলেট কিন্তু রোজের ডায়েটে রাখলে পিসিওএস-এর রোগীদের জন্য বেশ কার্যকরী। কারণ পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিন হরমোনের সমতা বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ফক্সটেল মিলেটের গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক কম। আবার মিলেটের মধ্যে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। তাই বিপাকহারও ভাল রাখতে ফক্সটেল মিলেট খেতে পারেন।
পার্ল মিলেট কিন্তু পিসিওএসের সমস্যায় খাওয়ার জন্য বেশ ভাল খাবার। পার্ল মিলেটে রয়েছে ভরপুর ফাইবার।
আবার রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে হলেও এই খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়াও পার্ল মিলেটে আছে ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপকারী খনিজ। তাই পিসিওএসের রোগীদের আদর্শ ডায়েটে এই খাদ্য রাখাই যায়।