17 JUN 2025

ফুলটুসির ফ্ল্যাটেই যত নজর, কী হল বাঁকড়ায়?

credit:Facebook

TV9 Bangla

ফ্ল্যাটেই হত পর্ন সিনেমার শ্যুটিং। ফ্ল্যাটে দেহব্যবসারও অভিযোগ উঠেছে। মা-ছেলের 'কীর্তি' ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে সংবাদ শিরোনামে হাওড়ার বাঁকড়া। শ্বেতা খান ও তাঁর পুত্র আরিয়ান খান এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এই কয়েকদিনে কী কী প্রকাশ্যে এল?   

উত্তর ২৪ পরগনার পাণিহাটির এক যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম শ্বেতা ওরফে ফুলটুসি ও আরিয়ানের নাম জানা যায়। ওই যুবতীকে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। 

পাণিহাটির যুবতীর অভিযোগের পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন ফুলটুসি ও আরিয়ান। তদন্তে নেমে তাঁদের একের পর এক 'কীর্তি' জানতে পারে পুলিশ।

ফুলটুসির প্রথম পক্ষের সন্তান হলেন আরিয়ান। প্রথম পক্ষের আরও একটি মেয়ে ছিল। কয়েকবছর আগে সে আত্মহত্যা করে। ফুলটুসির প্রথম পক্ষের স্বামীর অভিযোগ, ফ্ল্যাটে পুরুষ এনে 'ফুর্তি' করতেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী।

ফুলটুসি ও আরিয়ান তাঁদের বাঁকড়ার ফ্ল্যাটে পর্ন সিনেমার শ্যুটিং করতেন বলে অভিযোগ। দেহব্যবসাও চলত।

ফুলটুসির সঙ্গে একাধিক প্রভাবশালীর যোগ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে ছবি দেখা গিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আরিয়ান সামাজিক মাধ্যমে কাজের খোঁজ করা তরুণীদের সঙ্গে আলাপ পাতাতেন। এরপর সামাজিক মাধ্যমে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজের কথা বলে তাঁদের ডেকে নিয়ে যেতেন। তারপর চাপ তৈরি করে পর্নোগ্রাফির শ্যুট করাতেন বলে অভিযোগ।

গত ১১ জুন দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে। ওইদিন সন্ধ্যায় আলিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় শ্বেতাকে। আরিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই শ্বেতার সন্ধান পায় পুলিশ।  

আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন আরিয়ান ও শ্বেতা। এরই মধ্যে ২ জনকে সঙ্গে নিয়ে বাঁকড়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ডোমজুড় থানার পুলিশ। উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ ও একটি কাঁচি। সেগুলি পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ।