মাত্র ৫০ বছর বয়সে সক্কলকে চমকে গিয়ে না-ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা বিনোদন জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কি মনে পড়ে দর্শকের? কেন অকালেই চলে যেতে হয়েছিল পীযূষকে?
২০১৫ সালে ভয়ানক পথদুর্ঘটনার কবলে পড়েন পীযূষ গঙ্গোপাধ্য়ায়। হাওড়ার সাত্রাগাছিতে একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর গাড়ির। সেই সময় গাড়িতে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিল্পী এবং অভিনেত্রী মালবিকা সেন।
জেলায় একটি শো সেরে ফিরছিলেন তাঁরা। মালবিকার তেমন ক্ষতি না হলেও, পীযুষের অবস্থা প্রথম থেকেই ছিল অত্যন্ত সঙ্কটজনক। টানা পাঁচদিন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা চলে পীযূষের।
ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। প্রথমে একটি অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু শারীরিক পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার বাতিল করতে হয় তাঁর। ধীরে-ধীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করে অভিনেতার।
২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পীযূষ। তাঁর ময়নাতদন্ত করানো হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। পীযূষের আপন বলতে ছিলেন স্ত্রী পামেলা গঙ্গোপাধ্যায় এবং এক পুত্র।
ছবি আঁকা এবং মান্না দের গান শুনতে ভালবাসতেন মানুষটা। টেলি অ্যাকাডেমি সম্মান সহ একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন পীযূষ।
শীত চলে গিয়েছে। এখনও খুশকির সমস্যায় ভুগছেন? নো টেনশন। ঘরোয়া উপায়েই খুশকি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ব্রাত্য বসু, বিভাস চক্রবর্তী, অরুণ মুখোপাধ্যায়, রমাপ্রসাদ বণিকদের মতো নাট্যব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মঞ্চে অভিনয় করেছিলেন পীযূষ।
জীবনের শেষ কটা দিন চুটিয়ে টেলিভিশন সিরিয়ালে অভিনয় করছিলেন। ‘জল নূপুর’ ধারাবাহিকে অপরাজিতা আঢ্য অভিনীত মানসিকভাবে অন্যরকম পরীর স্যার-এর চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে স্নেহের জায়গা নতুন করে তৈরি করে নিয়েছিলেন পীযূষ।