25 April, 2024

TV9 Bangla

credit: Social Media

কলকাতার রাস্তায় রিকশা চালাচ্ছেন এই নায়িকা...

কলকাতার রাস্তায় অলিতে-গলিতে রিকশা চালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাংলা সিরিয়াল জগতের একসময়কার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নেহা অমনদীপ। তিনি বাঙালি নন। পাঞ্জাবি। ঝরঝর করে বাংলা বলতে পারতেন বলে ‘স্ত্রী’ ধারাবাহিকে নিরুপমার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। 

খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন নেহা। বাঙালি না হয়েও তাঁর এমন সাবলীল বাংলা বলা দেখে সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। সেই অমনদীপ হঠাৎ হারিয়ে গেলেন হাজার-হাজার মানুষের ভিড়ে। তাঁকে খুঁজে পাওয়া গেল না কোত্থাও। 

এখন জানা যাচ্ছে, তিনি নাকি সালোয়ার- কামিজ়, গলায় কালো কার এবং একটি বিনুনি ঝুলিয়ে রাস্তায়-রাস্তায় রিকশা চালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতটাই কি অভাব গ্রাস করেছে অভিনেত্রীকে, যে লাইমলাইট থেকে সরে রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হয়েছেন তিনি? ব্যাপারখানা কী বলুন তো…

বিষয়টা যা ভাবছেন, তা কিন্তু নয়। অমনদীপ আগে অভিনেত্রী ছিলেন। এখনও অভিনেত্রীই আছেন। তিনি একটি নতুন ধারাবাহিকে অভিনয় করা শুরু করেছেন। ধারাবাহিকের নাম ‘যোগমায়া’। টানা দু’বছর লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের থেকে শতহস্ত দূরে ছিলেন নেহা।

তাঁকে কোত্থাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিনোদন জগতের একটা অদ্ভুত নিয়ম আছে–আউট অফ সাইট আউট অফ মাইন্ড। চোখের সামনে না থাকলে মানুষ তাঁকে ভুলে যাম। অমনদীপের ক্ষেত্রেও কিন্তু তেমনটাই ঘটেছিল। হঠাৎ করে পর্দা থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই তাঁকে ভুলে বসেছিলেন।

কিন্তু প্রথম ধারাবাহিকে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে কেন দু’বছরের জন্য হারিয়ে গেলেন অমনদীপ। সেই কারণটি তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সম্প্রতি। অমনদীপ বলেছেন, “আমার একটা পারিবারিক কারণে কিছু বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছিল। পর্দা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম আমি। পুরোপুরি মনযোগ দিতে হয়েছিল পরিবারকে।" 

বলেছিলেন, "এই সময়টায় আমি একা ছিলাম। আমি ডিপ্রেশনেও চলে যাই। বুঝলাম যেই কাজটা করতে ভালবাসি, সেই কাজটা না করে থাকতে পারছি না। সেটা হল অভিনয়। সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করি। আর আজ দেখুন আমি ‘যোগমায়া’র সেটে দাঁড়িয়ে আছি।”

‘যোগমায়া’ ধারাবাহিকে এক রিকশা চালকের চরিত্রে দেখা যাবে নেহা অমনদীপকে। নেহার চরিত্রটা রিকশা চালায়। সমাজের নীচু শ্রেণি থেকে উঠে এসেছে সেই চরিত্র। সালোয়ার-কামিজ়, গলার কার এবং মাথায় বিনুনি ঝুলিয়ে নেহা বললেন, “আমাকে দেখে কি খুব গরিব মনে হচ্ছে? সত্যি করে বলুন তো!”