04 July,  2024

রান্না ঘরের মতো ছোট ঘর থেকে স্ট্রাগল সুমনের...

TV9 Bangla

credit: Social Media

বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকগুলো বছর ধরে কাজ করছেন অভিনেতা সুমন দে। তিনি সিরিয়ালের পরিচিত মুখ। এই অভিনেতা হওয়ার জন্য অনেক কাটখড় পোড়াতে হয়েছে সুমনকে। 

আজ তিনি নিজে এক বিরাট বাড়ির মালিক। কিন্তু জানেন কি, শুরুর দিকে সুমনকে বাড়ি ভাড়া পেতে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। এমনকী, থাকতে হয়েছে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিউটি পার্লারেও।

ধারাবাহিকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন অভিনেতা সুমন দে। শিলিগুড়ির ছেলে তিনি। বেঙ্গালুরু থেকে বি.কম পাশ করে মুম্বই চলে গিয়েছিলেন অভিনয় করবেন বলে।

শুরুতেই বুঝে গিয়েছিলেন, চাকরি করতে-করতে সিনেমার অডিশন দিতে পারবেন না। পেট চালাতে তাই জিম ট্রেনার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন আরব সাগর পাড়ে। 

সকালে জিমে ট্রেনিং করাতেন এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অডিশন দিতেন। তারপর ভাগ্য তাঁকে চাকরি পাইয়ে দেয়। ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মুম্বইতেই থেকেছেন সুমন।

মায়ের ইচ্ছেতে শিলিগুড়ি ফিরে আসেন। মুম্বইয়ে থাকলেও সুমন ভয় পেতেন কলকাতা শহরটাকে। শিলিগুড়ি ফিরে এসে কলকাতার সিনেমাপাড়া তাঁকে টানতে শুরু করে।

চলে আসেন কলকাতায়। শুরু হয় সুমনের এক নিদারুণ জার্নি। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হওয়া এক বন্ধুকেই পাশে পেয়েছিলেন সুমন।

এক জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুমন সেই বন্ধু সম্পর্কে বলেছিলেন, “ও একটা জায়গায় বাড়ি ভাড়া থাকত। আমাকে সেখানে একমাস রেখেছিল। আমি নিজেই অন্যত্র চলে গিয়েছিলাম। এমনও দিন গিয়েছে একটি বন্ধ পার্লারে থেকেছি।”

এই স্ট্রাগলের মাঝেই আসে অভিনয়ের সুবর্ণ-সুযোগ। যে সুযোগটির জন্য অপেক্ষারত ছিলেন সুমন। একটি নতুন লঞ্চ হওয়া চ্যানেল (লঞ্চ হওয়ার পরপরই সেটি বন্ধ হয়ে যায়) থেকে কাজের সুযোগ আসে তাঁর। 

সেই শুরু। এখনও পর্যন্ত তিনি দাপিয়ে অভিনয় করে চলেছেন। সম্প্রতি কিনেছেন নিজের নতুন বাড়ি। দারুণভাবে সাজিয়েছেন সেটিকে।

তবে আজও ফেলে আসা কঠিন দিনগুলো ফ্ল্যাশব্যাকে মনে পড়ে সুমনের। বন্ধ বিউটি পার্লার, রান্নাঘরের আকারের কামড়ায় বসবাস করেছেন। আজ বিরাট সুসজ্জিত ফ্ল্যাটের মালিক। 

নতুনদের উদ্দেশে সুমন বলেছেন, “নতুনদের একটা কথা বলতে চাই। আমার ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও দাদা-কাকা-বাবা কেউ ছিল না। আমি টলিপাড়ায় ঘুরে-ঘুরে বেড়াতাম।"

বলেন, "চ্যানেলের কিংবা সিরিয়ালের এপিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতাম। আমার ছবি জমা দিতাম তাঁদের কাছে। আর অপেক্ষা করতাম সুযোগের। একটাই কথা বলব, এভাবেই সুযোগ আসে। অন্য কোনও ভাবে নয়।”