১৯৯২ সালে মুক্তি পায় ‘রক্তে লেখা’ ছবিটি। তাতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছিলেন দেবশ্রী রায়। পরিচালক ছিলেন দেবশ্রীর জামাইবাবু, অর্থাৎ বলিউড অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়ের বাবা রাম মুখোপাধ্য়ায়।
ছবিতে দু’জন নায়ক ছিলেন। একজন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যজন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। এক পকেটমারের চরিত্রে দেবশ্রীকে দেখা যায় ছবিতে। সে রাস্তায় নাচে।
যে গান দেবশ্রীর লিপে বসানো হয়েছিল, তা হল ‘আমি কলকাতার রসগোল্লা’। গানটি গেয়েছিলেন কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, সুর দিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী এবং গানের কথা ছিল পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কলকাতার টালিগঞ্জে শুটিং হয়েছিল রাস্তায়। কখনও হলুদ ঘাগরা, কখনও লাল পাড় সাদা শাড়িতে কোমর দুলিয়ে নেচেছিলেন ছিপছিপে দেবশ্রী। আপামর বাঙালির হৃদয় হরণ করেছিলেন সেই নাচেই।
এই গানটি এত জনপ্রিয় হয়েছিল যে, সঙ্গে-সঙ্গে ‘কলকাতার রসগোল্লা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন দেবশ্রী। রসগোল্লা যেন দেবশ্রীরই সমনাম হয়ে ওঠে রাতারাতি।
বাঙালি দর্শক তো বটেই, দেবশ্রীও বলেছেন, তিনি ছাড়া আর কেউই কলকাতার রসগোল্লা হতে পারবেন না কোনওদিনও। শীতকালে নলেন গুড়ের রসগোল্লা খাওয়ার ধুম ওঠে খুব।
আচ্ছা, দেবশ্রী কি নিজে রসগোল্লা খান? TV9 বাংলাকে তিনি বলেছেন, "ও মা খাবো না কেন? ওটা আমার প্রিয় মিষ্টি। আমি তো আমার পোষ্যদেরও খাইয়েছি…"
এও জানিয়েছিলেন, একসঙ্গে বেশ কয়েকটা রসগোল্লা খেতে পারেন দেবশ্রী। তবে কলকাতার চেয়ে কলকাতার বাইরের রসগোল্লা খেতে বেশি ভালবাসেন অভিনেত্রী। তাঁর বাড়ির সামনের দোকানেও ভাল রসগোল্লা পাওয়া যায়।