বহু ছবিতে এবং নাটকে বাদ পড়েছিলেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল। সেগুলোর জন্য অভিনেত্রী প্রস্তুত ছিলেন না। চৈতি সাফ জানিয়েছিলেন, ঘটনাগুলো না ঘটলেই বোধহয় ভাল হত।
অভিনেত্রী বলেছেন, “এগুলো না ঘটলে হয়তো আমি আজ চৈতি ঘোষাল হতাম না। পুড়ে গিয়ে সোনা হয় না কেউ। কিন্তু পুড়তে-পুড়তে সোনা হওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে।”
এরপর এমন একটি ঘটনার কথা চৈতি জানালেন, যা শুনলে তাজ্জব বনে যেতে পারেন যে কেউ! চৈতি জানিয়েছেন ‘রক্তকরবী’র কথা। সকলেই জানেন ২৫ বছর ধরে প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব গৌতম হালদারের নির্দেশনায় ‘রক্তকরবী’র নন্দিনী হয়ে মঞ্চ মাতিয়েছেন চৈতি।
তাঁর মঞ্চাভিনয়ের শুরুতে সেই নন্দিনীর চরিত্রটি তাঁর থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। মনে তীব্র ক্ষোভ চেপে রেখে অভিনেত্রী TV9 বাংলাকে বলেছেন, “একটা ঘটনা আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তখন খুবই ছোট ছিলাম আমি। ১৫ বছর হবে।"
বলেন, "নাট্যব্যক্তিত্ব তৃপ্তি মিত্রর নির্দেশনায় আমাকে ‘রক্তকরবী’র নন্দিনী করা হয়। নিজেকে নন্দিনী ভাবতেই শুরু করে দিয়েছিলাম ওই ছোট বয়সেই। তারপর নানা কারণে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল সেই চরিত্রটা থেকে।”
কথা বলতে-বলতে চোখের ধরে রাখতে পারছিলেন না চৈতি। বললেন, “চোখে জল নিয়ে আমাকে চলে আসতে হয়েছিল। সেই সময় আমি অপর্ণা সেনের ‘পরমা’ ছবিতে পরমা (রাখি গুলজ়ার)-র মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছিলাম।"
সেই সময় ছোট ছিলেন চৈতি। বলেন, "আমি ছোট, সেই অজুহাতে আমাকে বাদ দেওয়া হয় ‘রক্তকরবী’ থেকে। হৃদয় দুমরে গিয়েছিল আমার। যাঁকে সেই সময় নন্দিনীর চরিত্রে নেওয়া হয়, তিনি তেমন সাড়া ফেলতে পারেননি। নাটকটা দাঁড়ায়নি।"
অভিনেত্রী আরও বলেন, "আমি তারপর টানা ২৫ বছর নন্দিনীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম প্রয়াত গৌতম হালদারের নির্দেশনায়। সেটা একটা কাল্ট।কিন্তু সেদিন বিশ্রী অজুহাত দেখিয়ে যেভাবে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, সেই ক্ষোভ আমি ভুলবই না। ক্ষমা করব না।”