প্রত্যেকের জীবনেই থাকে কোনও না-কোনও প্রতিকূলতা। সিনেমা কিংবা সিরিয়ালের পর্দায় যেসব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আমরা দেখি, তাঁদের জীবনেও যন্ত্রণার শেষ নেই।
পর্দায় তাঁদের অভিনয়ে যতখানি মন কাড়ে, বাস্তবজীবনেও তাঁদের নিয়ে কৌতূহল কম নয়। ফলে তারকাদের ব্যক্তিজীবন দর্শকের কাছে আকর্ষণেরই।
অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। মাত্র ২৩ বছর বয়সে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হয়েছিলেন অপরাজিতা। বিষয়টিকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন।
এবং সেই চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন দর্শকের ভালবাসা পেয়ে। অপরাজিতার মধ্যে এক মাতৃমূর্তি লুকিয়ে রয়েছে, তা এককথায় স্বীকার করে নিয়েছেন সকলেই।
যে কারণে ধারাবাহিকভাবে এবং সিনেমার পর্দায় তাঁকে মায়ের চরিত্রে কাস্ট করা হয়। কিন্তু এই অপরাজিতার জীবনেও আক্ষেপ রয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর অসুস্থ দিদি শাশুড়িকে নিজের কাছে নিয়ে রেখেছিলেন। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ ছিলেন। নিজের কাছে রেখেই সেবা-শুশ্রূষা করছিলেন অপরাজিতা।
তারপর অভিনেত্রীদের জীবনে যা ঘটে, তাই ঘটল। বিপুল কাজের চাপ আসতে শুরু করল। দিদি-শাশুড়ির দিকে মন দেওয়া হয়ে উঠল দুষ্কর।
অপরাজিতার মাসি শাশুড়ি এসে দিদি শাশুড়িকে নিয়ে গেলেন তাঁর বাড়িতে। দিদি শাশুড়ি আক্ষেপের সুরে বলতেন, “মনা এলো না।” মনা হলেন অপরাজিতা। ওটাই তাঁর শ্বশুরবাড়ির আদরের নাম।
দিদি শাশুড়িকে সেই ডাবে সাড়া দিতে পারেননি অপরাজিতা। বললেন, “আমি কিন্তু দিদি শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারিনি। এত কাজের চাপ ছিল।"
অপরাজিতাকে তিনি রোজ বলতেন, "মনা এলো না"। অভিনেত্রীর আক্ষেপ, "আমি কিন্তু শেষমেশ তাঁর কাছে গিয়ে উঠতেই পারিনি। এটা একজন পেশাদার অভিনেত্রীর জীবনের সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা।"