রাইমা সেন তারকা সন্তান। তাঁর দিদিমার নাম সুচিত্রা সেন। গোটা বিশ্ব যাঁকে চেনে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন বলে। রাইমার মা হলেন মুনমুন সেন।
তিনিও একজন প্রতিথযশাঃ অভিনেত্রী এবং তিনি বহুমুখী প্রতিভা। রাইমার আরও এক পরিচয়, তিনি রাজ পরিবারের মেয়ে। ত্রিপুরার দেববর্মা রাজপরিবারে বিয়ে হয় মুনমুন সেনের।
রাজ পরিবারের পুত্র ভরত দেববর্মার সঙ্গে তাঁর সম্বন্ধ করেছিলেন সুচিত্রা সেন স্বয়ং। সেই পরিবারের কন্যা রাইমা ‘দেববর্মা’ পদবী ব্যবহার করেন না সিনেমায়।
এর কারণ কি সুচিত্রা সেন, মুনমুন সেনের ‘সেন’ হওয়ার খ্যাতি? নাকি নেপথ্য রয়েছে অন্য কোনও কারণ... এই প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ।
‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’ টকশোতে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন রাইমা সেন। শুরুতেই রাইমাকে এই প্রশ্ন করেছিলেন ঋতুপর্ণ। তাঁকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেছিলেন, “তোর যে এই সেন পদবী ব্যবহার, এটা কি দিদিমা-মা সেন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বলে।”
উত্তরের রাইমা বলেছিলেন, “আমার যখন প্রথম ছবি মুক্তি পাচ্ছিল ‘গডমাদার’, ছবির পরিচালক বিনয় শুক্লা বলেছিলেন, ‘আমরা কি তোমার পদবী সেন ব্যবহার করতে পারি।
তোমার দিদিমা-মা সকলে সেন। দর্শকের তোমাকে তাঁদের সঙ্গে কানেক্ট করতে সুবিধা হবে’। তাই আমি রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু আমার সমস্ত সরকারি নথিতে, যেমন ব্যাঙ্কে, পাসপোর্টে সব ক্ষেত্রেই দেববর্মা পদবীটিই রয়েছে।”
সেই সাক্ষাৎকার পর্বে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। জড়তা বিহীনভাবে তিনি চিরাচরিত এক ধারণাকে খণ্ডন করার চেষ্টা করেছিলেন। কী সেই ধারণা?
রাইমার আসলে ঋতুপর্ণার উপর কৃতজ্ঞ থাকা দরকার ঋতুপর্ণ বলেছিলেন, “অনেকেই হয়তো তোর উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেন। তোকে অনুভব করতে বাধ্য করেন, আমার প্রতি তোর কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।"
বলেন, "কারণ আমি তোকে ‘চোখের বালি’তে অত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাস্ট করেছিলাম। আমি এখানে বসে একটা কথাই বলতে চাই যে, আমারও রাইমার প্রতি সমান কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।
ঋতুপর্ণর বক্তব্য, "‘চোখের বালি’তে আমি রাইমার জন্য যে পরিমাণ খেটেছিলাম, সে রকম খাটুনি আমি অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর পিছনেই খেটেছি। কিন্তু রাইমা সেটা আমাকে ফেরত দিয়েছে।”