কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে ‘লাভ বিয়ে আজকাল’ সিরিয়ালটি। সিরিয়ালের মাঝে নায়িকা বদল হয়। নায়িকা শ্রাবণের চরিত্রে অভিনয় করতে আসেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা।
এর আগে ‘খোকাবাবু’, ‘খড়কুটো’র মতো সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তৃণা। সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর বাড়িতেই একান্ত কিছু সময় কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী।
টিভি নাইন বাংলা ডিজিটাল সম্প্রতি তারকাদের কাছে জানতে চাইছে তাঁদের ক্ষমা করিনি মুহূর্ত। তৃণার কাছেও জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তৃণা মনে করেন, ক্ষমাই ধর্ম।
সোজা বলে দিয়েছেন, “আমি কিছুই ভুলি না। কিন্তু ক্ষমা করে দিতে পারি।” ‘ক্ষমা করিনি’ মুহূর্ত না থাকলেও, ‘মনে রাখার মতো’ ঘটনা অনেক আছে তৃণার জীবনে।
নায়িকা জানিয়েছেন, ‘খোকাবাবু’ সিরিয়ালে অভিনয় করার সময় তিনি এক্কেবারে নতুন ছিলেন। বারবার এনজি হত শট। সিরিয়র অভিনেতারা নাকি ভয়ানক রেগে যেতেন তৃণার উপর।
সিরিয়াস কিংবা রোম্যান্টিক সিনে হেসে গড়াতেন। সেই হাসি থামতেই চাইত না অভিনেত্রীর। আরও একটা খামতি ছিল তৃণার। সেই খামতির জন্য অনেক সমস্যা হয়েছে অভিনেত্রীর জীবনে।
তিনি তোতলাতেন খুবই। এখনও পর্যন্ত সেই তোতলানিটা ১০০ শতাংশ যায়নি। ‘খোকাবাবু’ করার সময় চিৎকার করে সংলাপ বলতেন। উত্তেজিত হয়ে তোতলাতে শুরু করে দিতেন।
তৃণা বলেছেন, “ছোট থেকেই আমি তোতলাই। এর কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই। কিন্তু এই তোতলামিটা আমার যায়নি এই বড় বয়সেও। এর জন্য ছোটবেলায় আমার প্রচুর হেনস্থা হয়েছে।"
বলেছেন, "লোকে অনেক হেসেছে আমার উপর। প্রথম-প্রথম খারাপ লাগত। কিন্তু পরবর্তীকালে আমি নিজেকে বুঝিয়েছি যে, এটা আমার জীবনের একটা অংশ।”
ঠিক যেমন ‘হিচকি’ ছবিতে রানি মুখোপাধ্যায়ের চরিত্র বুঝে গিয়েছিল, কথা বলতে-বলতে মুখ থেকে অদ্ভুত আওয়াজগুলো করা স্বাভাবিক বিষয়।
এই তোতলামির জন্য থেরাপি করাতে হয়েছে তৃণাকে। বলেছেন, “‘খোকাবাবু’তে সংলাপ বলতে অসুবিধা হত। আমাকে থেরাপি করাতে হয় সেই সময়। এখন অনেকটা ঠিক হয়েছে বিষয়টা। এখনও সেই থেরাপি অনুযায়ী আমি চলি।”