বিট-এ বেদানার তুলনায় আয়রনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি। হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য আয়রন একটি অপরিহার্য উপাদান। তাই দ্রুত আয়রনের ঘাটতি পূরণে বিট অধিক কার্যকর হতে পারে।
আয়রনের পরিমাণ
বিট ফোলেটের একটি অত্যন্ত ভাল উৎস। ফোলেট নতুন লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সরাসরি সাহায্য করে। যা রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফোলেট বা ভিটামিন B9
বেদানা ও বিট উভয়ই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তবে বেদানায় এর মাত্রা বেশি। ভিটামিন সি শরীরের আয়রন শোষণ করার ক্ষমতাকে বহুগুণ বাড়ায়। যা রক্ত বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত সহায়ক।
ভিটামিন সি
বেদানা তার উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (বিশেষত পলিফেনল) এর জন্য পরিচিত। এটি রক্তে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি কমায় এবং রক্তসঞ্চালনকে উন্নত করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
বিট-এ থাকা প্রাকৃতিক নাইট্রেট শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়, যা রক্তনালীগুলিকে প্রসারিত করে ও রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে।
রক্ত সঞ্চালন
তীব্র রক্তাল্পতা বা আয়রনের চরম ঘাটতি থাকলে, বিটের রস দ্রুত হিমোগ্লোবিন বাড়াতে এবং রক্তকণিকা উৎপাদনে বেশি কার্যকর বলে বিবেচিত হয়।
হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি
যদি রক্ত বৃদ্ধির পাশাপাশি সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান, তবে বেদানার উচ্চমাত্রার ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই সহায়ক।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
যদি শরীরে তীব্র আয়রনের ঘাটতি থাকে, তবে বিটের রস দ্রুত হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। আর যদি হালকা রক্তাল্পতা থেকে মুক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান, তবে বেদানার রস ভাল বিকল্প।
বিশেষজ্ঞ মতামত
দ্রুত এবং কার্যকর ফলাফল পেতে বেদানা ও বিটকে একত্রে মিশিয়ে রস বা স্মুদি তৈরি করে খাওয়া সবচেয়ে বেশি উপকারী।