অনেকেই রাতে বানানো রুটি সকালে দই, দুধ দিয়ে খেয়ে থাকেন। আয়ুর্বেদ ও প্রাচীন চিকিৎসাশাস্ত্র মতে, বাসি রুটি শরীরে নানা উপকার করতে পারে।
বাসি রুটির উপকারিতা
বাসি রুটি শরীরে শীতলতা এনে দেয়। এটি গরমকালে খেলে আরাম মেলে। পুষ্টিবিদদের মতে বাসি রুটি খাওয়া শরীরের জন্য ভাল।
শরীর ঠান্ডা রাখে
এতে অ্যাসিডিটি ও হজমের গরমভাব কিছুটা কমে। সেইসঙ্গে বাসি রুটিতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
অম্বল কমায়
বাসি রুটিতে থাকা রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ ভাল ব্যাকটেরিয়ার জন্য খাবার, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও শোষণশক্তি বাড়ায়।
কোলন ক্যানসার
বাসি রুটিতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে এবং রক্তে শর্করার ওঠানামা (গ্লাইসেমিক স্পাইক) কমায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
দই বা দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খেলে অন্ত্র পরিষ্কার হয় ও হজমশক্তি বাড়ে। সেইসঙ্গে তা নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।
হজমে সাহায্য করে
রুটিতে শর্করা ও ফাইবার থাকে। যে কারণে বাসি রুটি খেলে শরীরে শক্তি হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা যায়।
শক্তি জোগায়
রুটি যেন বেশি পুরোনো না হয়, বা বাসি হয়ে গন্ধ না ধরে। এক রাতের বেশি রাখা রুটি খাওয়াই নিরাপদ নয়। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ক্ষেত্রে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ জরুরি।