ছট পুজোর ৪ দিন কী কী পালন হয়? নিয়মে ভুল করলেই মহাবিপদ!
Image Credits: Pinterest
TV9 Bangla Desk
এটি মূলত ৪ দিনের উৎসব। কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষে পালিত হয়। এই পুজোয় মূলত সূর্যদেব ও ষষ্ঠী দেবী (ছঠি মাইয়া)র আরাধনা করা হয়।
ছট পুজো
এ বছর ছট পুজো শুরু ২৫ অক্টোবর, শনিবার থেকে। আর ২৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার শেষ হবে ছট পুজো।
কবে পড়েছে এ বছর ছট পুজো?
এই দিনটিকে নহায়-খায় বলে। ব্রতীরা অর্থাৎ যাঁরা উপোস করেন, তাঁরা বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করে, স্নান সেরে শুদ্ধাচারে নিরামিষ খাবার খায়।
ছট পুজোর প্রথম দিন
ঐতিহ্যগতভাবে এই দিনে লাউ-ভাত এবং ডাল খাওয়ার রীতি আছে। রান্নায় কোনওরকম আমিষ বা নুন ব্যবহার করা হয় না।
খাওয়াদাওয়া
এই দিনটিকে খরনা বা লোহান্ডা বলে। এদিন ব্রতীরা সারাদিন নির্জলা উপোস করেন। সন্ধ্যায় পূজার পর গুড় বা আখের রসের ক্ষীর ও রুটি খায়।
দ্বিতীয় দিন
দ্বিতীয় দিন উপোসের পর খেয়ে প্রায় ৩৬ ঘণ্টার কঠোর নির্জলা উপবাস শুরু হয়। এই দিনে তৈরি প্রসাদ পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
কঠোর নিয়ম
ছট পুজোর প্রধান দিন। যা কার্তিক শুক্ল ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয়। এদিন সন্ধ্যা অর্ঘ্য বলে। ব্রতীরা দিনভর নির্জলা উপোস করেন। সন্ধ্যাবেলা ভক্তরা নদী, পুকুর বা কোনও জলাশয়ের ঘাটে যান।
তৃতীয় দিন
বাঁশের কুলো বা ডালায় ঠেকুয়া, ফল (আখ, কলা, নারকেল), মিষ্টি ইত্যাদি সাজিয়ে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। এই দিন সূর্য দেবতাকে ধন্যবাদ জানানো হয় ও পরিবারের সুখ, সমৃদ্ধি ও সন্তানের মঙ্গল কামনা করা হয়।
নিয়ম
ঊষা অর্ঘ্য ও পারণ বলে। এদিন সকালে ব্রতীরা ফের ঘাটে যান। উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করেন। অর্ঘ্য দেওয়ার পর ছঠি মাইয়া ও সূর্যদেবের কাছে প্রার্থনা করেন। পুজো শেষে ব্রতীরা ঘাটে বা বাড়িতে এসে উপোস ভাঙেন ও প্রসাদ খান।
চতুর্থ দিন
এই প্রতিবেদনের বক্তব্য হিন্দুশাস্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Banglaর।