কোন কোন পদ লক্ষ্মীপুজোর ভোগে না দিলে পুজো অসম্পূর্ণ থেকে যায়?
credit: TV9
TV9 Bangla Desk
বাঙালির লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে কিন্তু ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে জমিয়ে ভোগ খাওয়া। শাস্ত্রমতে, এই দিন দেবীকে ভোগ হিসাবে যা যা নিবেদন করার চল রয়েছে তার অর্থ রয়েছে। লক্ষ্মীপুজোয় কোন ৮ পদ ভোগ হিসাবে নিবেদন করা প্রয়োজন?
লক্ষ্মীপুজোর ভোগ
লক্ষ্মীপুজোর ভোগে খিচুড়ি অপরিহার্য। চাল ও ডাল একসঙ্গে রান্না হওয়া মানে ঐক্য ও সমৃদ্ধি। দেবীর প্রিয় এই পদ, অন্নপূর্ণার প্রতীক। ঘি-তে ভাজা খিচুড়ি দেবীকে নিবেদন করলে ঘরে অন্ন ও সম্পদের অভাব দূর হয়।
খিচুড়ি
লাবড়া খিচুড়ির অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। এতে থাকে কুমড়ো, আলু, পটল, বেগুন, মুগডাল বরা, বাঁধাকপি ইত্যাদি বহু রকম সবজি। এই পদ জীবনের বিভিন্ন রঙ ও পারিবারিক বন্ধনের প্রতীক। এটি ভোগে রাখা মানে জীবনের সব দিকেই ভারসাম্য কামনা।
লাবড়া
নারকেল ও গুড় মিশিয়ে তৈরি নাড়ু মা লক্ষ্মীর অন্যতম প্রিয় মিষ্টান্ন। নারকেলকে শুভ ও পবিত্র ধরা হয়, আর গুড় মিষ্টতার প্রতীক। এই নাড়ু নিবেদন করলে সংসারে মাধুর্য, প্রেম ও সুখ বৃদ্ধি পায় বলে বিশ্বাস।
নারকেল নাড়ু
দুধ, চাল ও চিনি দিয়ে তৈরি পায়েস বা ক্ষীর প্রতিটি পুজোর অপরিহার্য অঙ্গ। শাস্ত্র বলে, পায়েস দেবতাদের প্রিয় আহার। দুধ ও চালের এই সংমিশ্রণ দীর্ঘায়ু ও সমৃদ্ধির প্রতীক। লক্ষ্মীপুজোর দিনে পায়েস নিবেদন মানে সংসারে সুখ-শান্তির কামনা।
পায়েস
লক্ষ্মীপুজোর ভোগে থাকা উচিত কমপক্ষে পাঁচ প্রকার ফল, যেমন—কলা, আপেল, ডালিম, আঙুর ও বেল। ফল প্রকৃতির দান, যা পবিত্রতা ও জীবনশক্তির প্রতীক। বিশেষ করে কলা মা লক্ষ্মীর প্রিয় বলে মনে করা হয়।
ফল
দুধ, মাখন বা ঘি লক্ষ্মীপুজোর ভোগে বিশেষ স্থান পায়। এগুলি শুদ্ধতা, সম্পদ ও শক্তির প্রতীক। দেবী লক্ষ্মীকে দুধ-মাখন নিবেদন করলে আর্থিক স্থিতি ও পারিবারিক শান্তি বজায় থাকে বলে বিশ্বাস।
মাখন-দুধ
চিঁড়ে, মুড়ি, চালের লাওয়া ইত্যাদি ভোগে রাখলে তা দেবীর বিনয়ী রূপকে সম্মান জানানো হয়। শাস্ত্রে বলা আছে, দেবী সাদামাটা ও পরিষ্কার আহারেই সন্তুষ্ট হন। তাই এই পদগুলি ভোগে অবশ্যই রাখা উচিত।
চিঁড়ে-মুড়ি
সন্দেশ, রসগোল্লা বা মিষ্টিদই—যে কোনো একটি মিষ্টি ভোগে থাকলে তা দেবীর প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রতীক। মিষ্টি শুধু দেবীর প্রিয় নয়, এটি আনন্দ, সৌভাগ্য ও আশীর্বাদের প্রতীক হিসেবেও ধরা হয়।