03 October, 2025 

কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোতে কেন ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো হয়?

Image Credits: Pinterest 

TV9 Bangla Desk

ঘি সত্ত্ব গুণের ধারক ও বাহক বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষ মতে, পুজোর সময় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে পরিবেশে সর্বাধিক সাত্ত্বিক ফ্রিকোয়েন্সি নির্গত হয়, যা দেবীর কৃপা আকর্ষণে সাহায্য করে।

সাত্ত্বিকতা বৃদ্ধি

মনে করা হয়, ঘিয়ের প্রদীপের পবিত্র জ্যোতি ও সুগন্ধ দেবী লক্ষ্মীকে আকৃষ্ট করে। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে ঘরের প্রবেশদ্বার ও পুজো স্থানে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে দেবী সেই বাড়িতে প্রবেশ করেন।

লক্ষ্মী দেবী

প্রদীপ তেজ বা অগ্নি তত্ত্বের প্রতীক। ঘিয়ের প্রদীপের মাধ্যমে এই তেজ তত্ত্বের সক্রিয়তা বাড়ে, যা ভক্তের আত্মশক্তিকে জাগিয়ে তোলে এবং পুজোর পূর্ণ ফল লাভে সহায়তা করে। 

তেজ তত্ত্বের সক্রিয়তা

যোগশাস্ত্র অনুসারে, ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো চক্র শুদ্ধ করতে বিশেষভাবে কার্যকর বলে মনে করা হয়। এই চক্র সুস্থতা ও মানসিক শান্তি প্রদান করে।

চক্র শুদ্ধি

জ্যোতিষ বিশ্বাস অনুসারে, তেল প্রদীপ নিভে যাওয়ার পর তার শুভ প্রভাব বেশিক্ষণ থাকে না, কিন্তু ঘিয়ের প্রদীপ নিভলেও দীর্ঘ সময় তার সাত্ত্বিকতা বা শুভ প্রভাব পরিবেশে থাকে।

দীর্ঘস্থায়ী শুভ প্রভাব

বাস্তু মতে, ঘিয়ের প্রদীপের তেজ বা অগ্নি নেতিবাচক শক্তি এবং অলক্ষ্মীর প্রভাবকে গৃহ থেকে দূর করে পরিবেশকে শুদ্ধ করে তোলে। এর ফলে বাড়িতে শান্তি, সমৃদ্ধি ও ধন-সম্পদ বজায় থাকে।

নেতিবাচকতা দূরীকরণ

বাস্তু অনুসারে, প্রদীপ জ্বালানোর জন্য পূর্ব বা উত্তর দিককে শুভ মনে করা হয়। উত্তর দিকে প্রদীপ রাখলে সমৃদ্ধি আসে ও জ্ঞানের বৃদ্ধি ঘটে। লক্ষ্মী দেবীর পুজোয় এই দিক মানলে অর্থ লাভ হয়।

দিক নির্দেশ

সন্ধ্যার সময় বাড়ির প্রধান দরজা বা পুজোর স্থানে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে এটি বাস্তুর চারপাশে একটি দিব্য সুরক্ষা কবচ তৈরি করে। যা নেতিবাচক শক্তি থেকে পরিবারকে রক্ষা করে।

বাস্তু সুরক্ষা কবচ!

বাস্তু মতে, গো-ঘি বা দেশি ঘি ব্যবহার করলে তা ইতিবাচক কম্পন তৈরি করে, যা কুবের এবং লক্ষ্মী দেবীর আশীর্বাদ আকর্ষণ করে। ফলে পরিবারে আর্থিক স্থিতি মজবুত হয় ও স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

ধন-সম্পদ বৃদ্ধি