দুর্গাপুজোর পর কমবেশি প্রতিটি বাঙালি মেতে ওঠেন কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোতে। অল্পতেই সন্তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। ভক্তিভরে তাঁকে যা নিবেদন করবেন, তাতেই দেবী খুশি হন।
লক্ষ্মীপুজো
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর ভোগে খিচুড়ি বেশ প্রচলিত। এর সঙ্গে থাকে ৫ রকমের ভাজা, লাবড়া, খই, মুড়কি এবং নাড়ু।
খিচুড়ি ভোগ
কেউ চাইলে মা লক্ষ্মীকে সবজি দিয়ে ভুনা খিচুড়ি নিবেদন করতে পারেন। পাশাপাশি ফ্রায়েড রাইস, আলুর দম, পায়েস এবং মিষ্টিও দিতে পারেন।
খিচুড়ি ও অন্য উপকরণ
কারও কারও বাড়িতে আবার লুচি, সুজি, শিমুই, বাঁধাকপি, ফুলকপির তরকারি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে নানা ফলমূল, সন্দেশ এবং নাড়ুও থাকে।
লুচি ও অন্য উপকরণ
যদি পূর্ববঙ্গীয় রীতির দিকে নজর দেন, তা হলে দেখা যায় অনেক বাড়িতেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় জোড়া ইলিশ নিবেদন করা হয়।
জোড়া ইলিশ
আখ, আতা, বাতাবিলেবু অবশ্যই দেওয়া রীতি। প্রচলিত বিশ্বাস মা লক্ষ্মীর খুব প্রিয় দুটি ফল আতা এবং আখ।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোতে ফল
প্রথা অনুযায়ী, মা লক্ষ্মীর চরণে পদ্ম বা শাপলা ফুল ও লাল রঙের ফুল নিবেদন করা উচিত।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোতে কোন ফুল দিতে হয়?
এ বছর লক্ষ্মীপুজো পড়েছে ৬ অক্টোবর। পূর্ণিমা তিথি থাকবে ৭ অক্টোবর সকাল অবধি। ওই দিন সন্ধেবেলায় বাঙালিদের ঘরে ঘরে হবে লক্ষ্মীপুজো।
লক্ষ্মীপুজো কবে?
নিয়ম অনুযায়ী, লক্ষ্মী আরাধনার সময় ধানের শীষের ছড়া বা গোটা ধান নিবেদন করা হয়। তার ফলে মা লক্ষ্মী তুষ্ট হয়ে ঘরে ধন ও সৌভাগ্যের বৃষ্টি বর্ষণ করে থাকে।