21 September, 2025

জানেন মহিষাসুরমর্দ্দিনী করতে কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন উত্তম কুমার?

TV9 Bangla Desk

সাল ১৯৭৬, দেশে তখন জরুরী অবস্থা। দিল্লির বেতার অফিসে বসল তড়িঘড়ি এক বৈঠক। বিষয়, কলকাতার জনপ্রিয় রেডিও শো মহিষাসুরমর্দ্দিনী। লক্ষ্য ছিল জনপ্রিয় শিল্পীদের দিয়ে নতুন প্রজন্মকে নতুন কিছু উপহার দেওয়া। 

টানা ৪০ বছর একই সম্প্রচারে বদল আনতে চাইলেন তাঁরা। কলকাতার রেডিও অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে হয়ে গেল বৈঠক। তাঁরা কিন্তু মনে মনে আঁচ করেছিলেন, বিষয়টা মোটেও সুবিধের হচ্ছে না। 

খবর গেল বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কানেও। শোনা যায় তিনি নাকি বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। বরং হাসি মুখে বলেছিলেন, ‘নতুনদের তো সুযোগ দিতে হবে’। খবর ততদিনে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। 

কলকাতার শিল্পীমহলের একশ্রেণী রীতিমতো অবাক, আবার অপরশ্রেণি সত্যি ভেবেছিলেন নতুন কিছু করাই যায়। তবে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের বদলে কার নাম উঠে আসছে? কেই বা নিতে পারে তাঁর জায়গা? 

প্রশ্নের উত্তর মিলতে সময় লাগেনি। তখন ‘সন্ন্যাসী রাজা’ ছবির সাফল্যে চারিদিকে জয়জয়কার হচ্ছে মহানায়ক উত্তম কুমারের। বয়স ৫০ পেড়লেও জনপ্রিয়তা তখনও তাঁর মধ্যগগণে।

 উত্তম বলতে অজ্ঞান বাঙালি। তাই উত্তমময় সেই বাঙালিদের নয়া মহিষাসুরমর্দ্দিনী উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা ছকে ফেলা হল। শুরু হল ভিতর ভিতর প্রস্তুতি। 

এমনই সময় বেতার অফিসে ওপর মহলের চাপ বাড়তে থাকল। আসরে নামলেন গায়ক সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। রাজি করালেন উত্তম কুমারকে।

মহানায়কের পারিশ্রমিক বাবদ ধার্য হল ১৫০ টাকা। শেষে উত্তম কুমার রাজিও হলেন। যদিও অনুষ্ঠানের আগে মহানায়ক দেখা করলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে। 

তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সেই মহিষাসুরমর্দ্দিনী উত্তমের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়। মহানায়কের কেরিয়ারে একমাত্র কালো অধ্যায়। পরবর্তীতে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি।