অন্ত্রকে ভাল রাখতে চাইলে পাতে রাখতে হবে এই সব গেঁজে যাওয়া খাবার
credit: Tv9
TV9 Bangla Desk
নিজেকে সুস্থ রাখার একটা বড় অংশ হল অন্ত্রকে ভাল রাখা। অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে গেলে প্রয়োজন, প্রোবায়োটিকস। ভারতীয়দের হেঁশেলে অনেক এমন ধরনের ফারমেন্টেড খাবার আছে, যা সমানভাবে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য
এই সব খাবার কেবল হজমশক্তি বাড়ায় না, বরং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও সামগ্রিকভাবে অন্ত্রের খেয়াল রাখে। ফারমেন্টেড খাবার যেমন সুস্বাদু তেমন গাট মাইক্রোবায়োম উন্নত করতে সাহায্য করে। কী কী সেই সব খাবার?
ফারমেন্টেড খাবার
দক্ষিণ ভারতের অন্যতম প্রধান প্রাতঃরাশ। চাল ও উড়দ ডালের ব্যাটার একরাত রেখে ফারমেন্টেশন করে এটি তৈরি করা হয়। ফারমেন্টেশনের ফলে ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়, যা ইডলিকে নরম, তুলতুলে ও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ করে তোলে। এটি হালকা এবং সহজপাচ্য।
ইডলি
ইডলির মতোই চাল ও ডালের ফারমেন্টেড ব্যাটার থেকে ধোসা তৈরি হয়। তবে এটি পাতলা এবং ক্রিসপি হয়। ফারমেন্টেশনের ফলে উপকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, যা গাট হেলথ ভালো রাখে এবং খাবারে টক স্বাদ যোগ করে। ফলে দোসা যেমন সুস্বাদু, তেমনি প্রোবায়োটিকেও ভরপুর।
ধোসা
উত্তর ভারতের জনপ্রিয় পানীয়। এটি তৈরি হয় গাজর, বিট ও সর্ষের বীজ ফারমেন্ট করে। টকস্বাদযুক্ত এই পানীয় প্রোবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা দেহ ডিটক্সিফাই করে এবং হজমশক্তি বাড়ায়।
কাঞ্জি
কেরালার ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি ফারমেন্টেড চালের ব্যাটার ও নারকেলের দুধ দিয়ে তৈরি হয়। প্রাকৃতিক ফারমেন্টেশনের কারণে এতে হালকা টক স্বাদ থাকে, যা গাট-বন্ধু মাইক্রোব তৈরি করে। স্পঞ্জের মতো নরম টেক্সচারের কারণে এটি হালকা অথচ পুষ্টিকর।
আপ্পম
গুজরাটের এক ধরনের নোনতা কেক, যা চাল, ডাল ও শাকসবজি দিয়ে তৈরি করা হয়। রান্নার আগে ফারমেন্টেশন করা হয়, যা স্বাদ ও প্রোবায়োটিক উপাদান দুটোই বাড়িয়ে তোলে।
হান্ডভো
যেসব আচার, ভিনিগারের পরিবর্তে লবণ, তেল ও মশলা দিয়ে ফারমেন্ট করা হয়, সেগুলো ভালো প্রোবায়োটিক উৎস। ফারমেন্টেড আম, লেবু বা মরিচের আচারে ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা স্বাস্থ্যকর গাট ফ্লোরা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আচার
রাজস্থানের বিখ্যাত খাবার। এতে ডালের বড়া দেওয়া হয়, যা ফারমেন্টেড সরিষার স্বাদযুক্ত পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। টকস্বাদযুক্ত এই তরল প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, আর বড়া খাবারটিকে করে তোলে পেটভরা ও সুস্বাদু।