শীতে ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ে। তার মোকাবিলায় ও হজমশক্তি বাড়াতে আদা ও কাঁচা হলুদের আচার দারুণ কাজ করে।
শীতে ভাল থাকতে আচার
কাঁচা হলুদ (২৫০ গ্রাম) ও আদা (১০০ গ্রাম) ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। হলুদের ওপরের পাতলা ছালটি এবং আদার ছাল ছাড়িয়ে নিন।
উপকরণ ও প্রস্তুতি
আদা ও হলুদ দুটোই সরু সরু লম্বা ফালি বা ছোট কিউব করে কেটে নিন। খেয়াল রাখবেন, কাটাকাটির পর যেন এতে জল না লেগে থাকে।
কেটে নেওয়া
কাটা আদা ও হলুদ একটি পরিষ্কার কাপড়ের ওপর ছড়িয়ে অন্তত ২-৩ ঘণ্টা ফ্যানের নিচে রেখে দিন, যাতে এর ভেতরের আর্দ্রতা পুরোপুরি শুকিয়ে যায়।
জল ঝরানো
একটি বড় পাতিলেবুর (অথবা মাঝারি সাইজের ৩-৪টি লেবুর) সম্পূর্ণ রস বার করে নিন। আচার সংরক্ষণের জন্য এই লেবুর রস প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করবে।
লেবুর রস
১ চামচ মেথি দানা ও ২ চামচ মৌরি হালকা গরম করে শুকনো কড়াইতে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এই মশলা আচারে সুগন্ধ আনবে।
মশলা প্রস্তুত করা
একটি বড় কাঁচের পাত্রে বা বাটিতে শুকিয়ে রাখা আদা ও হলুদের টুকরোগুলি নিন। এর মধ্যে লেবুর রস ও তৈরি করে রাখা ভাজা মশলার গুঁড়ো মিশিয়ে দিন।
মিশিয়ে নেওয়া
স্বাদমতো রক সল্ট বা বিট লবণ এবং রঙ উজ্জ্বল করার জন্য সামান্য হলুদ গুঁড়ো (যদি কাঁচা হলুদের রঙ হালকা হয়) মিশিয়ে ভাল করে টস করে নিন।
লবণ ও হলুদ গুঁড়ো
এই আচারে সাধারণত তেলের প্রয়োজন হয় না। তবে আপনি যদি চান, তবে ২-৩ চামচ সরষের তেল সামান্য গরম করে ঠান্ডা করে মিশিয়ে নিতে পারেন।
তেল মেশানো (ইচ্ছে হলে)
আচারটি একটি পরিষ্কার, শুকনো কাঁচের বয়ামে ভরে নিন। এটি ৩-৪ দিন রোদে রাখলে আদা ও হলুদ নরম হবে এবং লেবুর রস ভালভাবে ঢুকে যাবে। এরপর ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিন।