তিল এবং গুড় উভয়ই তাপ উৎপাদনকারী খাদ্য। শীতকালে এটি খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বজায় থাকে এবং ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমে।
শরীর উষ্ণ রাখে
গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেলস (যেমন জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম), যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং সর্দি-কাশি ও ফ্লু থেকে রক্ষা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
তিল ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটি দারুণ উৎস। নিয়মিত তিল-গুড়ের লাড্ডু খেলে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে এবং শীতকালে গাঁটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
হাড় মজবুত করে
গুড় আয়রনের একটি চমৎকার উৎস। রক্তাল্পতায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য এই লাড্ডু খুবই উপকারী, কারণ এটি শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি
তিল-গুড়ের লাড্ডু প্রাকৃতিক চিনি এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (তিল থেকে) সরবরাহ করে, যা শীতকালে আলস্য দূর করে সারাদিন শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
শক্তির উৎস
গুড় প্রাকৃতিক হজমকারী এনজাইম সক্রিয় করতে সাহায্য করে। এই লাড্ডু খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হতে পারে।
হজমে সাহায্য
তিলে থাকা ভিটামিন-ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং শীতকালে ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে।
ত্বকের স্বাস্থ্য
তিলে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং লিগনান থাকে। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি
গুড় শ্বাসতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ও শ্লেষ্মা বের করে দিতে কার্যকর। এটি সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে পারে।