ময়দার সঙ্গে পরিমাণমতো নুন, সামান্য চিনি এবং ৩-৪ চামচ তেল বা ঘি-এর ময়ান দিয়ে ভাল করে মেশান। হালকা উষ্ণ জল দিয়ে ময়দাটি নরম করে মাখুন ও একটি ভেজা কাপড় দিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন।
ময়দা মাখা
টাটকা কড়াইশুঁটির দানা ছাড়িয়ে হালকা গরম জলে বা স্টিমে ২-৩ মিনিট সিদ্ধ করে জল ঝরিয়ে ঠান্ডা করুন। কড়াইশুঁটি যেন অতিরিক্ত নরম না হয়ে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কড়াইশুঁটি সিদ্ধ করা
সিদ্ধ কড়াইশুঁটি, সামান্য আদা বাটা ও কাঁচা লঙ্কা একসঙ্গে মিক্সিতে অল্প জল বা জল ছাড়া বেটে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
পুর তৈরি
কটি কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে ১/২ চামচ হিং দিন। এরপর কড়াইশুঁটির পেস্টটি দিন। এর মধ্যে নুন, চিনি ও সামান্য ভাজা মশলা (জিরে, ধনে, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো) মিশিয়ে মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন।
পুর কষানো
পুরটি ততক্ষণ নাড়তে থাকুন, যতক্ষণ না মিশ্রণটি শুকিয়ে আসে এবং কড়াইয়ের গা ছেড়ে একটি মণ্ড তৈরি হয়। মণ্ডটি নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন।
পুর শুকোনো
মেখে রাখা ময়দা থেকে ছোট ছোট আকারের লেচি কেটে নিন। এরপর কড়াইশুঁটির মণ্ডটি দিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করে নিন।
লেচি তৈরি
প্রতিটি লেচির মাঝখানে একটু গর্ত করে আলতো করে কড়াইশুঁটির পুরটি ভরে দিন এবং মুখ বন্ধ করে দিন। এ বার হালকা হাতে বেলে ছোট গোলাকার কচুরি তৈরি করুন। বেলার সময় তেল ব্যবহার করুন।
পুর ভরা ও বেলা
একটি কড়াইতে মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। তেল গরম হলে একটি করে কচুরি দিন ও হালকা সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। সামান্য চাপ দিন। সবদিক তা হলে ভাল ভাজা হবে।
কচুরি ভাজা
তেল ঝরিয়ে তুলে গরম গরম কড়াইশুঁটির কচুরি ছোলার ডাল, আলুর দম বা আপনার পছন্দের চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন।