মুচমুচে বেগুনি খেতে কার না ভাল লাগে। তবে গরম তেলের কড়াই থেকে বেগুনি নামিয়ে নেওয়ার কয়েক মিনিট পরই চুপসে যায়।
মুচমুচে বেগুনি
আরও ভাল করে বললে একটু ঠান্ডা হলেই বেগুনি নেতিয়ে যায়। মুচমুচে ভাব উড়ে যায়। তখন খেতে ভাল লাগে না।
বেগুনি নেতিয়ে যাওয়া
বেশ কয়েকটা নিয়ম মেনে বেগুনি বানাতে পারলে তা ভাজার কয়েকঘণ্টা পরও মুচমুচে থাকবে। প্রথমেই যা মাথায় রাখতে হবে, বেগুনির জন্য যে বেগুন কাটা হবে তা মোটা বা খুব পাতলা যেন না হয়।
বেগুনি ভাজার নিয়ম
বেগুন মাঝারি মাপের হওয়া ভাল। এ বার একটা পাত্রে জল দিয়ে সেটার মধ্যে নুন দিন। তাতে বেগুন ভিজিয়ে রাখতে হবে।
কী কী মাথায় রাখবেন?
যেন কাটা বেগুনে কালো দাগ না হয়ে যায়। মিনিট দশেক এ ভাবে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এ বার এক কাপ বেসন ও হাফ কাপ চালের গুঁড়ো নিতে হবে। সেটা ভাল করে চালুনিতে ছেঁকে নিতে হবে।
চালের গুঁড়ো ব্যবহার
বেগুনিতে চালের গুঁড়ো দিলে তা বেশ মুচমুচে হয়। এ বার ওই মিশ্রণের মধ্যে দিতে হবে এক চামচ কর্নফ্লাওয়ার। এরপর পরিমাণমতো নুন দিতে হবে। সেইসঙ্গে এক চামচ হলুদ ও লঙ্কার গুঁড়োও মেশাতে হবে।
কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার
যে কেউ চাইলে মুচমুচে বেগুনি বানানোর জন্য বেকিং সোডা দিতে পারেন। কারণ বেগুনি মুচমুচে করতে সাহায্য করে বেকিং সোডা।
বেকিং সোডা
বেসন ও জল দিয়ে একটা ঘন ব্যাটার বানাতে হবে। রুমের তাপমাত্রায় থাকা জল ব্যবহার করুন। ঘন ব্যাটার তৈরির পর ২০ মিনিটের জন্য ঢাকা দিতে হবে। আঙুল দিয়ে চেক করতে হবে এই মিশ্রণ ঠিক আছে কি না।
ব্যাটার তৈরি
এ বার সময় এসেছে বেগুনি গরম করার। বেসনের যে মিশ্রণ বানানো হয়েছে, তা এ বার গরম তেলে ছেড়ে দিতে হবে। তা হলে বেগুন ফুলে উঠবে এবং মুচমুচে হবে। বেশ কয়েক ঘণ্টা ভাল থাকবে।