নবপত্রিকার ৯ গাছ কোন নয় দেবীর প্রতীক? জানুন মাহাত্ম্য
credit: TV9
TV9 Bangla Desk
সপ্তমীর ভোর মানেই কলাবউ স্নান। কোথাও কোথাও আবার রয়েছে নবপত্রিকা স্নানের প্রথাও। মানে ৯টি বিশেষ গাছকে দেবী দুর্গার অঙ্গ রূপে পুজো করা হয়। তার আগে সেই ৯ গাছকে স্নান করানো হয় সপ্তমীর সকালে। কী সেই সব গাছের মাহাত্ম্য জানেন?
নবপত্রিকা স্নানের প্রথা
কলা গাছ নবপত্রিকার প্রধান গাছ। কেউ কেউ কলাবউ বলেন। কলা গাছ সমৃদ্ধি, উর্বরতা ও সুখের প্রতীক। বিশ্বাস করা হয়, কলা দেবী কল্যাণীর রূপ, যিনি পরিবারের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি রক্ষা করেন।
কলা গাছ – দেবী কল্যাণী
কচু শস্য বৃদ্ধি ও ভোগবিলাসের প্রতীক। এটি দেবী কালিকা প্রতীক হিসেবে পূজিত হয়। মনে করা হয়, এটি পরিবারের ভাণ্ডার ভরে রাখে এবং অভাব দূর করে।
কচু গাছ – দেবী কালিকা
হলুদ গাছ পবিত্রতা ও আরোগ্যের প্রতীক। দেবী দুর্গার প্রতীক হিসেবে হলুদ ব্যবহৃত হয়। এর ঔষধি গুণ দেহ ও মনকে শুদ্ধ করে এবং নেতিবাচক শক্তি দূর করে।
হলুদ গাছ – দেবী দুর্গা
বেল দেবীশক্তির এক বিশেষ প্রতীক। শাস্ত্রে বলা হয়, বেলপাতা শিবের নিকট পবিত্রতম। এখানে এটি দেবী রক্তদন্তিকার রূপকে বোঝায়, যিনি পাপ নাশ করেন ও ভক্তকে রক্ষা করেন।
বেল গাছ – দেবী রক্তদন্তিকা
ধান উর্বরতা, অন্ন ও জীবনের প্রতীক। ধানকে দেবী চণ্ডিকার রূপে পূজা করা হয়। কৃষিভিত্তিক সমাজে ধান শস্যভাণ্ডারের দেবীস্বরূপ বিবেচিত।
ধান গাছ – দেবী চণ্ডিকা
মান বা আরুম গাছকে দেবী শিবানীর প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এটি জীবনধারণের প্রাচীন শক্তির প্রতীক এবং অন্নদাত্রী মাতার রূপকে প্রকাশ করে।
মান গাছ – দেবী শিবানী
অশোক গাছ দুঃখ নাশ ও সুখের প্রতীক। দেবী সোপদ্রার রূপে অশোক ব্যবহৃত হয়। বিশ্বাস করা হয়, এর উপস্থিতি ঘরে দুঃখ-দুর্দশা দূর করে আনন্দ ও শান্তি আনে।
অশোক গাছ – দেবী সোপদ্রা
জয়ন্তী গাছকে দেবী কল্পদ্রুমার প্রতীক মনে করা হয়। এই গাছ সমৃদ্ধি, আশা ও প্রাচুর্যের প্রতীক। এটি পূজায় দীর্ঘায়ু ও সফলতার আশীর্বাদ প্রদান করে।
জয়ন্তী গাছ – দেবী কল্পদ্রুমা
দাড়িম্ব বা ডালিম গাছকে দেবী রক্তপ্রিয়ার প্রতীক ধরা হয়। ডালিমের লাল রঙ শক্তি, স্বাস্থ্য ও জীবনশক্তির প্রতীক। এটি অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করে এবং ভক্তকে শক্তি যোগায়।