প্রতি বছর দুর্গাপুজো শেষ হয় বিজয়া দশমীর মাধ্যমে। আর দশমী মানেই মন খারাপের পালা। কষ্ট ও আবেগ যেমন থাকে, তেমনই শুরু হয় ফের প্রতীক্ষার পালা।
দশমীর পুজো
দশমীর দিন দেবী দুর্গা মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফেরেন । এই সময় যার ফলে সকলের মন অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হয়ে যায়।
উমার ঘরে ফেরার পালা
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে বাপের বাড়ি ছেড়ে দেবী দুর্গা ফিরে গিয়েছিলেন কৈলাসে। তাই এই তিথিকে বিজয়া দশমী বলা হয়।
পৌরাণিক কাহিনি
কথিত আছে মহিষাসুরের সঙ্গে ৯দিন, ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর তাঁর বিরুদ্ধে জয় লাভ করেছিলেন দেবী দুর্গা। তাঁর শক্তির জোরে এই দিনটি বিজয়া দশমী হিসেবে পালিত হয়।
মহিষাসুর যোগ
দেবীর আবির্ভাব হয়েছিল আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে। আর তিনি মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন শুক্লা দশমীতে। তাই এই দিনটি বিজয়া বলে চিহ্নিত হয়।
শ্রী চণ্ডীর কাহিনি মতে
অধর্মের বিরুদ্ধে জয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত এই তিথি। শাস্ত্র বলছে এই দিন একদিকে বিজয়া দশমী হিসেবে যেমন পরিচিত, তেমনই এই তিথি দশেরা নামেও পরিচিত।
২ অক্টোবর বিজয়া দশমী
এই তিথিটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই পরিস্থিতিতে নতুন কাজ, পুজো করলে অধিক ফল মেলে।
দশমী তিথি শুভ
প্রচলিত বিশ্বাস এই যে বিজয়া দশমীর দিনে সুন্দরকাণ্ড পাঠ করা শুভ। যে ব্যক্তি এটি পাঠ করেন, তিনি ভগবান রামচন্দ্র ও বজরংবলীর আশীর্বাদ পান।
সুন্দরকাণ্ড পাঠ
এই প্রতিবেদনের বক্তব্য হিন্দু শাস্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Banglaর।