বিজয়া দশমীতে এই কাজ করলেই সুখে ভরে সংসার, বাড়ে ধন-সম্পদ
credit: TV9
TV9 Bangla Desk
বিজয়া দশমী মানে আনন্দের মধ্যেও মিশে যায় বিষাদের সুর। একরাশ মন খারাপ নিয়ে মাকে বিদায় জানানোর পালা। সঙ্গে শুরু ১ বছরের অপেক্ষাবে তবে এই দিন কিছু কাজ করলে বৃদ্ধি পায় ধন-সম্পদ। পরিবারে আসে সুখ-শান্তি।
বিজয়া দশমী
দশমীতে মা দুর্গাকে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়ার পর মায়ের সিঁদুর সংগ্রহ করে গৃহলক্ষ্মীর আসনে রাখলে ঘরে সমৃদ্ধি আসে। সিঁদুর লাল কাপড়ে বেঁধে টাকার আলমারিতে রাখতে পারেন। বিশ্বাস, এতে অটল থাকে আর্থিক স্থিতি।
মা দুর্গার সিঁদুর অর্ঘ্য
বিজয়া দশমীর দিনে বিবাহিতা মহিলারা শাঁখা-পলা পরে মায়ের মূর্তিকে সিঁদুর দিয়ে বরণ করেন। তারপর সেই সিঁদুর ঘরের অন্য মহিলাদের কপালে দিলে ঘরে আসে সৌভাগ্য ও ধনলক্ষ্মীর কৃপা। সংসার অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা পায়।
শাঁখা-সিঁদুর বরণ
দশমীতে মা দুর্গার বিসর্জনের আগে ও পরে শঙ্খ বাজালে পরিবেশ পবিত্র হয় এবং ঘরে ধনপ্রবাহ বাড়ে বলে বিশ্বাস। শঙ্খের ধ্বনি নেতিবাচক শক্তি দূর করে ইতিবাচকতা আনে।
শঙ্খ বাজানো
এই দিনে ধান ও গঙ্গাজল দিয়ে মায়ের পূজা করার পর সেই ধান ঘরের ধনভাণ্ডারে রেখে দিলে কখনো অর্থকষ্ট হয় না। একইসঙ্গে তুলসী গাছে প্রদীপ জ্বালালে সংসারে শান্তি বজায় থাকে।
ধান, তুলসী ও গঙ্গাজল
দশমীর সন্ধ্যায় একটি লাল কাপড়ে কুমকুম, অক্ষত চাল এবং একটি রুপো বা তামার কয়েন বেঁধে আলমারি বা টাকার বাক্সে রাখলে ধনবৃদ্ধি হয়। এটি লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
কুমকুম ও চালের টোটকা
দশমীর দিনে মিষ্টি বা প্রসাদ গরিব ও ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করলে সংসারে অন্ন-অভাব থাকে না। অর্থের সঙ্গে সঙ্গে মান-সম্মানও বৃদ্ধি পায়।
মিষ্টি ও প্রসাদ বিতরণ
দশমীর রাত বিশেষ শুভ। তাই এই রাতে উত্তর দিকে মুখ করে ঘরের মন্দিরে ঘি বা তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে 'ওঁ মহালক্ষ্ম্যৈ নমঃ' মন্ত্র জপ করলে লক্ষ্মীদেবীর কৃপায় সংসার ভরে ওঠে ধন-সম্পদে।
প্রদীপ জ্বালান
দশমীতে অশোকা বা বিল্বপত্র মায়ের পুজোয় ব্যবহার করে তা ঘরে এনে টাকার ব্যাগ বা ধনভাণ্ডারে রাখলে অর্থ বৃদ্ধি হয়।