পুজোর দিনে ঘরে ইতিবাচক শক্তি বজায় রাখতে হলে মানতেই হবে এই নিয়ম!
credit: Pintarest, TV9
TV9 Bangla Desk
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এই সময়ে আমাদের চারপাশে যেন আধ্যাত্মিকতার এক বিশেষ পরিবেশ তৈরি হয়। সঞ্চার হয় ইতিবাচক শক্তির। তবে কিছু ভুলে সেই শক্তি থেকে বঞ্চিত হতে পারে আপনার বাড়ি। তাই কিছু নিয়ম মেনে চলাটা আবশ্যক।
পুজোর আগে ঘরের ধুলো-ময়লা দূর করা, অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। অগোছালো ও অপরিষ্কার পরিবেশ নেতিবাচক শক্তিকে আহ্বান করে। পরিচ্ছন্ন ঘরেই দেবশক্তির আবাহন সহজ হয়।
ঘর পরিচ্ছন্ন রাখুন
পুজোর আসন বা বেদি সবসময় পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে স্থাপন করা শুভ। এই দিক দেবশক্তি আহ্বানের জন্য শ্রেষ্ঠ বলে ধরা হয়। মেঝেতে লাল বা সাদা আসন বিছিয়ে তার ওপর প্রতিমা বা পূজাসামগ্রী রাখা উচিত।
পবিত্র স্থান নির্ধারণ করুন
অগ্নিশক্তি নেতিবাচকতাকে দূর করে। পুজোর সময়ে ঘি বা তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালালে ঘর উজ্জ্বল হয় ও শান্তি আসে। ধূপ বা আগরবাতি দহনেও পরিবেশে সুগন্ধ ছড়িয়ে মন পবিত্র হয়।
প্রদীপ-ধূপ জ্বালান
পুজোর শুরু ও শেষে শঙ্খ বাজানো এবং ঘণ্টা বাজানো অত্যন্ত শুভ। এতে পরিবেশ থেকে অশুভ শক্তি দূরে সরে যায় এবং ইতিবাচক শক্তির তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে।
শঙ্খ-ঘণ্টাধ্বনি
তাজা ফুল দেবী-দেবতার পূজায় অপরিহার্য। এগুলো সৌন্দর্য ও ইতিবাচকতার প্রতীক। পঞ্চপ্রদীপে আগুন জ্বালানো হলে তা জ্ঞানের আলো ও শুভ শক্তির সঞ্চার ঘটায়।
ফুল অর্পণ
পুজোর সময়ে দেবীর মন্ত্র, স্তোত্র বা চণ্ডীপাঠ করলে ঘরে কম্পন সৃষ্টি হয় যা নেতিবাচক শক্তিকে নাশ করে। এটি মানসিক শান্তি ও ভক্তির আবহও বাড়ায়।
মন্ত্রোচ্চারণ-স্তোত্রপাঠ
পুজোর শেষে প্রসাদ সবার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া উচিত। এটি শুধু ভক্তির প্রতীক নয়, বরং ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে ঘরে আনন্দ ও ঐক্যের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
প্রসাদ বিতরণ
সন্ধ্যাবেলায় কিছুক্ষণ প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলে ঘরে সমৃদ্ধি, শান্তি ও পজিটিভ এনার্জি প্রবাহিত হয়। বলা হয়, এই আলো দেবশক্তিকে দীর্ঘসময় ধরে আহ্বান করে রাখে।