চুল ধোওয়ার জন্য অতিরিক্ত গরম জল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। গরম জল মাথার ত্বককে শুষ্ক করে ও চুলের ফলিকলকে দুর্বল করে, যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ। হালকা গরম বা ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করুন।
মৃদু গরম জল ব্যবহার
সপ্তাহে অন্তত ২-৩বার উপযুক্ত তেল (নারকেল তেল, অলিভ তেল বা বাদাম তেল) হালকা গরম করে মাথার ত্বকে আলতো করে মালিশ করুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ও মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখে।
নিয়মিত তেল মালিশ
শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে। তাই এমন শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন যা চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
আর্দ্রতা বজায় রাখুন
প্রোটিন, ভিটামিন (বিশেষ করে বায়োটিন, ভিটামিন ডি, ই) এবং মিনারেলস সমৃদ্ধ খাবার খান। শাকসবজি, ফল, বাদাম এবং মাছ আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন, যা চুলের গোড়াকে মজবুত করে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। চুল শুকিয়ে গেলে বড় দাঁতের কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন। এতে চুল কম ছিঁড়ে যায়।
সঠিক চিরুনি ব্যবহার
হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার বা কার্লিং আয়রনের মতো তাপ-ভিত্তিক স্টাইলিং টুলস এই সময়ে ব্যবহার করা কমিয়ে দিন। এদের অতিরিক্ত তাপ চুলকে আরও শুষ্ক ও ভঙ্গুর করে তোলে।
স্টাইলিং টুলস এড়িয়ে চলুন
বাইরে বেরনোর সময় ঠান্ডা বাতাস এবং দূষণ থেকে চুলকে রক্ষা করার জন্য একটি টুপি বা সিল্কের স্কার্ফ ব্যবহার করুন। তবে খেয়াল রাখবেন টুপি যেন খুব টাইট না হয়।
টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার
শরীরের পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা অপরিহার্য। এটি ডিহাইড্রেশন রোধ করে, যা চুল পড়া বাড়াতে পারে।
পর্যাপ্ত জল পান
রাতে বা অন্য কোনও সময় ভেজা অবস্থায় চুল বেঁধে রাখবেন না। এতে মাথার ত্বক আর্দ্রতা হারায় এবং ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, যা পরোক্ষভাবে চুল পড়ার কারণ হতে পারে।