মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধের আগে মহাদেব (শিব) তাঁর নিজের ত্রিশূল দিয়েছিলেন দেবী দুর্গাকে। প্রতীক: তিন লোক ও তিন গুণের নিয়ন্ত্রণ।
ত্রিশূল
শ্রীবিষ্ণু দেবী দুর্গাকে দিয়েছিলেন চক্র। যা সবসময় ঘূর্ণায়মান অবস্থায় থাকে। প্রতীক: সময়ের চাকা ও ধর্ম রক্ষার শক্তি।
সুদর্শন চক্র
দেবী দুর্গাকে শঙ্খ দিয়েছিলেন বরুণ দেব। যা সৃষ্টির নাদ ও শুভশক্তির প্রতীক। হিন্দু শাস্ত্র মতে শঙ্খের ধ্বনি অশুভের বিনাশ ঘটায় ও শুভ শক্তির সঞ্চার করে।
শঙ্খ
মহিষাসুরের সঙ্গে দেবী দুর্গার যুদ্ধের আগে বনদেব ও সূর্যদেব তির এবং ধনুক দিয়েছিলেন। প্রতীক: শক্তির লক্ষ্যভেদ ও মনসংযম।
তির ও ধনুক
দেবরাজ ইন্দ্র দেবী দুর্গার হাতে তুলে দিয়েছিলেন তাঁর বজ্র। অশুভ শক্তি দমন করতে দেবী এই বজ্রাস্ত হাতে তুলে নেন। প্রতীক: অজেয় শক্তি ও দৃঢ়তা।
বজ্র
দেবী দুর্গাকে তরবারি দিয়েছিলেন গণেশ। সিদ্ধিদাতা যেমন বুদ্ধি ও সিদ্ধি প্রদান রেন, তেমনই তাঁর দেওয়া তরবারি ক্ষুরধার বুদ্ধি ও জ্ঞানের প্রতীক। বুদ্ধি প্রতীক: অশুভ শক্তি বিনাশ ও সত্যের জয়।
তরবারি
যমরাজ দেবী দুর্গাকে দিয়েছিলেন গদা। এই গদা ভাল ও মন্দের মধ্যে বিভাজন করতে সক্ষম। প্রতীক: ন্যায় ও কঠোর শাস্তির ক্ষমতা।
গদা
বিশ্বকর্মা দেন কুঠার। যা অসীম সাহসের প্রতীক রূপে বিবেচিত। আর বর্ম চিন্তা শক্তি ও জ্ঞানের প্রতীক। প্রতীক: ধ্বংসের মাধ্যমে সৃষ্টির নতুন সম্ভাবনা।
কুঠার ও বর্ম
প্রজাপতি ব্রহ্মা দেবী দুর্গাকে দিয়েছিলেন পদ্ম। মা দুর্গার হাতে অর্ধ প্রস্ফুটিত পদ্মের অর্থ মানুষের মনের সুপ্ত চেতনা কালক্রমে উত্থানের পথ প্রশস্ত করে। প্রতীক: পবিত্রতা, শান্তি ও জ্ঞান।
পদ্মফুল
অগ্নিদেব দেবী দুর্গাকে দিয়েছিলেন বর্শা। যা বুদ্ধিমত্তা নির্দিষ্ট করতে পারে। এই অস্ত্রের প্রয়োগ তীক্ষ্ণ বুদ্ধির দ্বারা ঠিক ও ভুলের মাঝে পার্থক্য করা যায় এবং সঠিক পথ বেছে নেওয়া যায়।
বর্শা
এই প্রতিবেদনের বক্তব্য পুরাণ ও হিন্দু শাস্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Banglaর।